পুজো’র ঢাকে কাঠি পুড়েই গেল। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের দশটি জেলা মিলিয়ে বুধবার মােট ৬৯টি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর মরশুমে করােনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। সেই কারণে এবার পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের পথেই হাঁটলেন মমতা।
বুধবার নবান্ন সভাঘর থেকেই পুজোগুলির উদ্বোধন সারেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পুজোর অ্যাম্বিয়েন্স দিয়ে সাজানাে হয়েছিল নবান্ন সভাঘর। মমতার লেখা পুজো’র গান বেজেছে । এবারই প্রথম জেলার পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া- এই দশটি জেলার ৬৯টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন সারলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা সফরের স্মৃতি রােমন্থন করতেও শােনা গেল তাঁকে। প্রার্থনা করলেন সুন্দর পৃথিবী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আর্জি জানালেন, অন্যায় থেকে, সংকট থেকে, দাঙ্গা থেকে সকলকে মুক্ত করো মা।
অনেকের মতে, মমতার এই প্রার্থনা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ। বিশেষ করে একুশের নির্বাচনের আগে মমতার জেলার পুজো’র উদ্বোধনী মঞ্চে বিজেপি’কে দেওয়া এই খোঁচা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ’র পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করা হয়েছে। পুজো’র ঢাকে কাঠি আওয়াজের সঙ্গে এবার ভােটের বাদ্যিও যে মিলেমিশে যাচ্ছে, এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।
বুধবার নবান্ন সভাঘরে জেলার পুজোর উদ্বোধনের পর আহিরিটোলা সর্বজনীনের মণ্ডপে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, কাল এবং পরশু এই তিনদিন শহরের পুজোগুলি উদ্বোধন করার সুচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আজ বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতা, কাল ১৬ অক্টোবর বেহালা ও যাদবপুর এবং শনিবার দক্ষিণ কলকাতার নির্ধারিত পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।