• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শালবনী ব্লক জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

শালবনি ব্লকের একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ৩০-৩৫টি হাতি পাল। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জমির ধান থেকে শুরু করে জমির ফসল।

হাতি (Representational Image: iStock)

বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ৩০-৩৫টি হাতি পাল। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জমির ধান থেকে শুরু করে জমির ফসল।

এই বিষয়ে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে এলাকার মস্ত চাষীদের। তেমনই এক ছবি ধরা পড়ল শালবনি ব্লকের খামারবাড় গ্রামে । যেখানে বিঘার পর বিঘার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতির তাণ্ডব এর ফলে, অন্যদিকে হাতির পাল গ্রামে ঢুকে যাওয়ায় যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গ্রামবাসীরা।

এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় এক চাষী কার্যত আঙ্গুল তুলেছে বনদপ্তর এর উপর। স্থানীয় চাষীদের অভিযােগ হাতি তাড়ানাের ক্ষেত্রে কোনাে সহযােগিতা পাইনি গ্রামের মানুষ, এর ফলে নিজেদের জমি রক্ষা করার লক্ষ্যে নিজেরাই হাতি তাড়ানাের কাজে নামেন। এখানেই শেষ নয় যেভাবে হাতির তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে একাধিক জমির ফসল তাতে ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়েছে এলাকার চাষীরা।

যদিও এই প্রসঙ্গে নয়াবসত বনদপ্তর এর আধিকারিক দেবেন সহিম বলেন আমরা সর্বদাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি হাতিগুলােকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে বনকর্মী সহ এলাকাবাসীর তাদের সহযােগিতা পাচ্ছি এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকল ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

অপর দিকে বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় ৭০ টি হাতি শালবনি ব্লকের বিষ্ণুপুর অঞ্চলের ধানঘরি গ্রামে ঢুকে।নযার ফলে ওই গ্রাম জুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা হুলা জ্বালিয়ে ওই হাতির দলকে গ্রাম থেকে তাড়ানাের কাজ শুরু করেছে। তবে ওই গ্রাম জুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীরা বিষয়টি বন দফতরকে জানিয়েছে।