মাত্র তিন কিলােমিটার গন্তব্যে ২০ হাজার টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া। সেই ভাড়া আগেই মিটিয়ে দিতে রােগীর পরিবারের লােকজনকে বাধ্য করা হয়। রােগীর পরিবারের লােকজন তা মিটিয়ে দিলেও অভিযােগ, নির্দিষ্ট সময় থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্সটি আসে।
রােগী চাপানাের পরও অ্যাম্বুলেন্সে ত্রুটি দেখা দেয় এবং বর্ধমান থানা এলাকার পুলিশ লাইনের কাছে রােগীর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লােকজন। তাঁদের সঙ্গে কিছু স্থানীয় মানুষ যুক্ত হয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। একই সময় কয়েক জন অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুর চালায়।
মৃত রােগীর নাম স্বপন দাস, বয়স আনুমানিক ৫৪। মৃত স্বপনবাবুর বন্ধু শেখ রফিকুল ইসলাম অভিযােগ করে বলেন, উল্লাস মােড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে টেরেসা হাসপাতালে স্বপনবাবুর চিকিৎসা হচ্ছিল। জ্বর সহ বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল।
কিন্তু অবস্থার অন্নতি হওয়ায় স্বপনবাবুকে বর্ধমান শহরের অপর একটি নার্সিংহােমে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন পরিবারের লােকজন। রােগীর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে অত্যাধুনিক সুবিধা সহ ভেন্টিলেশন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।
রােগীর পরিবারের লােকজনের অভিযােগ, সেই সময় তারা পাশের একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেন। তাদের কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্সটির ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। একই সঙ্গে তাদের টাকা অগ্রিম মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।
রােগীর পরিবারের লােকজনের অভিযােগ, সামান্য তিন কিলােমিটার রাস্তার জন্য তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে কর্তৃপক্ষ। এত বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে সময় মতাে পরিষেবা দেয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে আসে অ্যাম্বুলেন্সটি। পরে এলেও রােগী চাপানাের কিছুক্ষণের মধ্যে ফের একবার খারাপ হয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।
পরিবারের লােকজনের অভিযােগ, অক্সিজেন ঠিকমতাে না লাগানাের জন্য পথেই স্বপনবাবুর মৃত্যু হয়। এরপরই পরিবারে লােকজন উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার মােবাইল ফোনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যােগাযােগ করা সম্ভব হয়নি