নিজস্ব প্রতিনিধি – কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান স্পিনার সুনীল নারিন ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বল লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে কাজ করে চলেছেন। যদিও তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিশ্লেষণ সত্ত্বেও নারিন রহস্য ধরে রাখতে পেরেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্পিন বোলিং কোচ কার্ল ক্রোয়ে মঙ্গলবার ইডেনে নাইট রাইডার্সের অনুশীলনের ফাঁকে এই খবর দিয়েছেন। ক্রোয়ে ওয়েস্ট ইন্ডজকে সাহায্য করা ছাড়াও তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বহুবার সাসপেন্ড হওয়ার পরও নারিনের আবার ফিরে আসার ক্ষেত্রেও ক্রোয়ের অবদান রয়েছে। বোলিং কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আজকের দিনে এত ধরনের টেকনোলজি রয়েছে তা সত্ত্বেও নারিনের বোলিং রহস্য ব্যাটসম্যানরা উদ্ধার করতে পারছে না কেন উত্তরে ৪৩ বছর বয়সী কার্ল ক্রোয়ে জানিয়েছেন, গতবছর থেকে নারিন তার বোলিং অ্যাকশন পাল্টে ফেলেছেন। এবং এখনও তাই নিয়ে কাজ করে ফেলেছেন। এতকিছু বিশ্লেষণ হয়েছে এবং হচ্ছে সেটা আমরা জানি। বল লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে নারিনের অ্যাকশন গতবছর থেকে সামান্য বলদলে গিয়েছে।
কেকেআরের বোলিং কোচ আরও বলেছেন, আমরা নারিন যাতে ব্যাটসম্যানের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন সেই বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। আইপিএলের পর আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছর তার রহস্য বল নিয়ে, বল লুকিয়ে রাখা নিয়ে আরও কাজ করে যাওয়া। আমরা অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে এবং বল লুকিয়ে রাখার নতুন পথ খুঁজে বের করার চেষ্টায় রয়েছি যাতে ব্যাটসম্যানরা কোনওভাবেই বল বুঝতে না পারে। গতবছর সুনীল নারিন কেকেআরের হয়ে ১৬ টি ম্যাচে সতেরো উইকেট পেয়েছিলেন। কোচ বলেছেন, নারিন এবছর আঙুলের আঘাতের জন্যে পাকিস্তান সুপার লিগ ক্রিকেটে অংশ নেননি। তবে এখন নারিন চমৎকার ফিট রয়েছেন বোলিং অত্যন্ত উঁচুমানের হওয়া ছাড়াও এখন নারিনের ব্যাটিংয়ে ম্যাচের একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যখন কোনও বোলার তার বোলিং অ্যাকশন পাল্টে ফেলে তখন তাঁকে অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট মান ধরে রাখার ব্যপারটা নিশ্চিত করতে হয়। নারিন সেটা করেছেন। যার সব কৃতিত্ব তারই। ২০১৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে না থাকা সত্ত্বেও নারিনকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ক্রোয়ে বলেছেন, গত বিশ্বকাপের সময় নারিন ঠিকমতো প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু এখন নারিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চান যেটা আমরা জানি বলেই সামনের দিকে তাকিয়ে আছি তাঁকে দলে পাওয়ার আশায়। ভারতের চায়নাম্যান বলার কুলদীপ যাদব সম্পর্কে ক্রোয়ে বলেছেন, চাপের মুখেও খেই হারিয় না ফেলাটা তার দ্রুত উন্নতির কারণ গত দুই-তিন বছর আমি নাইট রাইডার্স দলের সঙ্গে রয়েছি। কুলদীপের সঙ্গে কাজ করার দৌলতে তার উন্নতিও লক্ষ্য করেছি। কুলদীপের সঙ্গে কাজ করার দৌলতে তাঁর উন্নতিও লক্ষ্য করেছি। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি যা আমাকে ধাক্কা দিয়েছে তা হল কি করে সে এত ঠাণ্ডা মাথায় ক্রিকেট খেলে যায়। আসলে কুলদীপের হৃদয়টা বড়। ব্যাটসম্যানদের হাতে প্রহৃত হওয়ার জন্য সে প্রস্তত থকে। বিশ্বের সেরা বোলারকেও কখনো কখনো মার খেতে হয়। ক্রোয়ে আসলে ইংল্যান্ডের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ৪২ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৬০ উইকেট নিয়েছে।