কোভিডের ধক্কায় ঘরােয়া অর্থনীতি এখন প্রায় ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে। বলা যেতে পারে অর্থনীতিকে লাইফ সাপাের্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। কারণ রাজস্ব আদায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বদলে ২৪ শতাংশ সংকোচন হয়েছে প্রথম তিন মাসে। সেই ধাক্কা সামলাতে ইতিমধ্যে ৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা ধার নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দ্বিতীয় অর্ধে আরও ৪,৩৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করতে হবে।
অর্থ বিষয়ক সচিব তরুণ বাজাজ জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে এবার যে আরও ধার নিতে হবে তা মে মাসেই বােঝা গিয়েছিল। বাজেটে স্থির হয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে ৭.৬ লক্ষ কোটি টাকা ধার করার প্রয়ােজন হতে পারে। তখনও করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর চেহারা নেয়নি।
কিন্তু মে মাসে গােটা পরিস্থিতি পর্যালােচনা করে সরকার দেখে যে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার করার প্রয়ােজন রয়েছে। বাজাজ জানিয়েছেন, গােটা আর্থিক বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার করার কথা ছিল। তার মধ্যে ৬৩.৮ শতাংশ তথা ৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ধার করা হয়ে গিয়েছে।
তবে অর্থ বিষয়ক সচিব জানিয়েছেন আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে রাজস্ব আয় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সরকারও কিছু ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খরচ করতে পারছে। তবে বাজাজ জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত চ লক্ষ কোটি টাকা ধার করা অপরিহার্য। আর্থাৎ আরও প্রায় ৪.৩৪ কোটি টাকা ধার করতে হবে মােদি সরকারকে।