নতুন কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল গােটা দেশ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি নতুন তিনটি কৃষি আইনকে ঐতিহাসিক আইন বলে দাবি করেছেন। এবার কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
তিনি বলেন, নতুন কৃষি আইনগুলি কৃষকদের কণ্ঠ রােধ করা হচ্ছে। এদেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হয়েছে। বিরােধীদের চরম আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস করিয়ে নিয়েছে নরেন্দ্র মােদি সরকার। এমনকি রবিবার এই তিনটি কৃষি বিলকে অনুমােদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ফলে তা আইনে পরিণত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দেশব্যাপী দু’মাস যাবত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে কংগ্রেস। সােমবার এই কৃষি আইনগুলির লাণ্ড করার জন্য মােদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাহুল গান্ধি একটি টুইট করেন যেখানে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনও তুলে ধরেন তিনি।
এই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য এটাই যে রাজ্যসভায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সিপিএম সাংসদ কেকে রাগেশ এবং ডিএমকে’র সাংসদ ত্রিচি শিবা নিজের আসনে বসেছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভায় ২০ জুন এই কৃষি বিল পাশ হওয়ার সময় ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ন সিং জানান, ভােটাভুটির সময় বিরােধী নেতারা তাদের আসনে ছিলেন না।
তিনি ধ্বনিভােটের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই বিল পাশ করানাের জন্য বিরােধীদের কণ্ঠরােধ চাপা দিয়ে এই বিল পাশ করানাে হয়েছে বলেও দাবি করেন রাহুল গান্ধি। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই এই তিনটি কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। কৃষি প্রধান রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্যে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।