• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে মূর্তি ভাঙার স্মৃতি উসকে মমতার তােপ বিজেপিকে

কলকাতায় বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িতে তাঁর দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সরকারি অনুষ্ঠানে টেলিফোনে প্রারম্ভিক ভাষণ দেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

গত বছরই কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা সফরে। ভাঙা মুর্তি জোড়া লাগানাে হলেও ভাঙনের স্মৃতি ভােলেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে মমতা টুইটে তােপ দাগেন বিজেপিকে। 

এদিন সেই ঘটনার উল্লেখ করে মমতা বলেন, প্রতিনিয়ত ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সদা জাগ্রত থাকতে হবে। 

একই সঙ্গে এদিন কলকাতায় বিদ্যাসাগরের বসতবাড়িতে তাঁর দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সরকারি অনুষ্ঠানে টেলিফোনে প্রারম্ভিক ভাষণ দেন মমতা। সেখানেও তিনি নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নীতির সমালােচনা করেন। 

মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য বিশিষ্টরাও একইভাবে গেরুয়া দলের বিভিন্ন নীতির সমালােচনা করেন। একই মঞ্চে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়া বৃত্তি দেওয়ার কথা ঘােষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। 

মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর টেলিফোনিক ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন চাপিয়ে দেওয়া নীতির সমালােচনা করেন। এদিন মমতা বলেন, বেশ কিছু ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আছে যেখানে মনীষীদের জীবনী তুলে ধরা হচ্ছে না। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রকাশ করে বলেন, এরা শুধু মূর্তিই ভাঙছে না, বাংলার সংস্কৃতি, মর্যাদা, ঐতিহ্যকেও দুমুষ করছে। ধর্মান্ধতায় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যাতে বাংলার সংস্কৃতিকে মুছে ফেলা যায়। রামমােহন, বিদ্যাসাদর, বঙ্কিমচন্দ্র, নজরুলকে ভুলিয়ে রাখতে চাইছে। 

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির আত্মত্যাগকে মনে করিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন করে বাংলার ইতিহাস লেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাংলাকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাকে বাঁচাতে হলে আমাদের একজোট হতে হবে। বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞা। 

এদিন শিক্ষা দফতরের ব্যবস্থাপনাতেও বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। সেখানেও সাহিত্যিক আবুল বাশার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বিজেপির চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। 

সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় এবং শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বিদ্যাসাগরের মহান কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।