লখনউ, ১৮ মার্চ- বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সাতটি আসন মায়াবতী- অখিলেশের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব খন্ডন করে তাদের রাজ্যের ৮০টি আসনেই লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার লখনৌতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী সাফ জানিয়েছেন, তাঁর দল কংগ্রেসের সঙ্গে উত্তর প্রদেশ বা অন্য কোথাও জোট করবে না। এদিন সকালে ট্যুইট করে মায়াবতী জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে জোটবন্ধনের জন্য সাতটি আসন ছাড়ার কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস রাজনৈতিক মহলে ভুল বোঝাবুঝির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। তিনি উত্তর প্রদেশের মানুষের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস প্রতিদিনই মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করছে। মানুষ যেন কংগ্রেসের এই ফাঁদে পা না দেন।
জোট বন্ধনের অন্য সদস্য সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও এই মন্তব্য ট্যুইট করেছেন। তিনি বলেছেন , এস পি- বি এস পি- আর এল ডি জোট উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে হারাতে যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই কংগ্রেসের উচিত নয় কোনো ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করা।
এর আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল , উত্তর প্রদেশে বি এস পি – সমাজবাদী পার্টির বড় নেতা নেত্রীরা যে সাতটি আসনে লড়াই করবেন সেখানে কংগ্রেসের কোনো প্রার্থী দেবে না।
জানুয়ারি মাসেই মায়াবতী-অখিলেশ জোটবন্ধনে আবদ্ধ হয় কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই। জোট কংগ্রেস্ কে তাদের আমেথি ও রায়বেড়িলি আসন দুটি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর জন্য ছেড়ে দিতে রাজি। এরই প্রত্যুত্তরে কংগ্রেস সাতটি আসনে লড়াই না করার কথা ঘোষণা করেছিল। কংগ্রেসের এই ঘোষণা কে জোটবন্ধনের সঙ্গে কোন সমঝোতা না করার ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নেয় বি এস পি -এস পি জোট।
কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের বহুমুখী লড়াইয়ের ফলে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপিরই সুবিধা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহ্ল। ২০১৪ সালে এমনটাই ঘটেছিল। ২০১৯ সাধারণ নির্বাচনেও একই ফলাফল হবে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা।
কংগ্রেস দলের পক্ষে ঘোষণা করা হয়েছিল , সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়েম সিং যাদব যে মৈইনপুরী আসন থেকে লড়াই করছেন এবং কনৌজ আসনে তাঁর পুত্রবধূ ডিম্পল যাদব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেখানে কংগ্রেস কোনো প্রার্থী দেবে না। কনৌজে বলিউড অভিনেতা রাজ বাব্বরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। কংগ্রেস রাষ্ট্রীয় লোক দলের নেতা অজিত সিং , জয়ন্ত চৌধুরী ও মায়াবতী যে সকল আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেখানেও কোনও প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। এছাড়া গেন্ডা ও পিলভিট আসন দুটি আপনা দলকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়েছে।