• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আমাদের মূল্যবােধ সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় না, দিল্লি হাইকোর্টকে জানালাে কেন্দ্র

সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। সােমবার দিল্লি হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে সরকারের আইনজীবী কেন্দ্রের এ বিষয়ে অভিমত ব্যাখ্যা করেন।

প্রতীকী ছবি (Photo: iStock)

সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। সােমবার দিল্লি হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে সরকারের আইনজীবী কেন্দ্রের এ বিষয়ে অভিমত ব্যাখ্যা করেন। সরকারি আইনজীবীর দাবি, এ ধরনের বিবাহকে সায় দিলে তা আমাদের মূল্যবােধের পরিপন্থী হবে। চিরাচরিত ধ্যানধারণার বিপক্ষে যাবে। এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এভাবেই কেন্দ্রের অবস্থায় ব্যাখ্যা করেন সরকারি আইনজীবী।

এদিন দিল্লি হাইকোর্টে মুখ্য বিচারপতি ডি এন প্যাটেল এবং বিচারপতি প্রতীক জালানের ডিভিশন বেঞ্চে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তিনি এই মন্তব্য করেন আদালতে। তুষার মেহেতার মতে ‘আমাদের আইন, মূলবােধ সমলিঙ্গের বিবাহকে মান্যতা দেয় না। সমলিঙ্গের যুগলের মধ্যে এটি একটি প্রতিশ্রুতি মাত্র।’ 

উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের হিন্দু বিবাহ আইনকে সামনে রেখে সমলিঙ্গে বিবাহের স্বীকৃতি ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন অভিজিৎ আইয়ার মিত্র, গীতা ঠান্ডানি, গােপীশংকর এম, জি উর্বশীর মতাে আন্দোলনকারীরা। 

তাদের বক্তব্য ছিল দেশের শীর্ষ আদালত ২০১৮ সালে সমলিঙ্গের সম্পর্ক অপরাধের আওতা থেকে বাইরে রাখার কথা বলেছিল। সে কারণে সমলিঙ্গের মানুষদের বিবাহ ও রেজিস্ট্রেশনের স্বীকৃতি দেওয়া হােক। সেই সঙ্গে তাদের বক্তব্য ছিল হিন্দু বিবাহ আইনের পাঁচ নং ধারায় যুগলের একজন নারী অপরজনকে পুরুষ হতে হবে এমন কোনও উল্লেখ নেই। দুজন হিন্দুর মধ্যে বিবাহের কথা বলা হয়েছে। 

তাদের এই যুক্তি নাকচ করে দেন সলিসিটার জেনারেল। তার মন্তব্য একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিবাহ হতেই পারে। যাতে করে এই আইনের আওতায় তা নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্যে না পড়ে। সেই সঙ্গে সলিসিটার জেনারেলের আরও বক্তব্য ছিল ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৩৭৭ ধারা আংশিক রদ করেছিল। সেই রদে কেবলমাত্র সমলিঙ্গের মানুষদের উপর থেকে অপরাধীর তকমা সরিয়ে দিয়েছিল। এর বেশি নয়, এর কমও নয়। এই সহজ সত্যটা সবাইকে বুঝতে হবে বলেও এদিন আদালতে জানান সলিসিটার জেনারেল।