দেশে কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে এগ্রি-ইনফ্রা ফান্ডের আওতায় ১ লাখ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হল- আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন কৃষি আর্থিক প্যাকেজটি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এই অর্থ দ্বারা হিমঘরের আধুনিকীকরণ, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, কৃষিপণ্য মজুত সংস্থার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। দেশের সমস্ত গ্রামে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ পদ্ধতির উন্নয়ন, কোল্ড স্টোরেজ চেনের ব্যবস্থা করা ও চাকরির সুবিধা করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের ক্ষুদ্র চাষীদের ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র গুরুত্ব দিয়ে কৃষি সংস্কারের পথে হেঁটেছে। তার কথায়, দেশে চাষ ও ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু উৎপাদিত ফসল মজুত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। চাষীকে লোকসানের মুখ দেখতে হয়। তাই, উৎপাদিত ফসল মজুত করার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক হিমঘর পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষকদের আরও ভালো আয়ের দিকটিও নিশ্চিত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলরাম জয়ন্তীর শুভ মুহূর্তে দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্স করে ১ লাখ কোটি টাকার তহবিল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দেশের কৃষকরা এই দিনে লাঙল পুজো করেন। দেশের কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হাল ছটের শুভ দিনে উৎপাদিত ফসল মজুত করার জন্য প্রয়োজনীয় হিমঘর পরিকাঠামো গড়ে তোলা, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, কৃষিপণ্য মজুত সংস্থার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হল। পাশাপাশি, কৃষকদের আরও ভালো আয়ের দিকটিও নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ স্কিমে সাড়ে আট কোটি কৃষত্রে ব্যাঙ্কে সরাসরি ১৭,১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ স্কিমের আওতায় কৃষকদের বছরে সাড়ে ছয় হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের তদারকিতে প্রকল্পটি চলবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি গুজরাত, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। তিনি জানান, দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে ওই পরিমাণ টাকাটি মঞ্জুর করা হয়েছে। পিএসিএস, এফপিওস’দেরকে লোন হিসেবে ওই টাকা দেওয়া হবে। দেশের বারোটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ককৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।