করলে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রবিবার ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২। তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনও তিরিশ জনের মতো মানুষের খোঁজ মিলছে না।
শুক্রবার ইদুক্কি জেলায় রাজামালাইয়ে প্রবল বর্ষণের ফলে ধস নামে। তাতে চাপা পড়ে যান কলোনির চা-শ্রমিকরা। ধস নেমেছে পেট্রিমালা পাহাড়ের এক অংশে। তার জেরে চা-শ্রমিকদের বসতি চাপা পড়ে গিয়েছে। মৃতদের খোঁজে স্নিফার ডগ নিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ইদুক্কিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে কমপক্ষে ছ’টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল। ওই এলাকায় কমপক্ষে ৭৮ জন থাকতেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ চা-শ্রমিকই পার্শ্ববর্তী তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ইদুক্কি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে হস্টেল থেকে লোকালয় অনেক পড়ুয়া ফিরে এসেছিলেন। তার ফলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিরোধী নেতা রমেশ চেন্নিথালা এবং বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। আদতে যিনি কেরলের বাসিন্দা। এদিকে এখনও কেরলের আবহাওয়া উন্নতির কোনও পূর্বাভাস নেই।
ইতিমধ্যেই লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে জেলাগুলি। পাথানামমিট্টা, কোট্টায়ামসহ সাতটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। লাগাতার বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে মধ্যে কেরলের একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়েছে। তার জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।