দিল্লির অভিজাত লোদি এস্টেটে সরকারি বাংলো ১ জুলাই ছেড়ে দিতে বলা হয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে। কেন্দ্রীয় সরকার এক নোটিশ জারি করে বলে, আগস্টের ১ তারিখের মধ্যে যদি প্রিয়াঙ্কা ওই বাংলো না ছাড়েন তাহলে তাঁর থেকে জরিমানা আদায় করা হবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা আপাতত কয়েকদিন গুরগাঁওতে থাকবেন। তারপর তিনি নিজের বাড়ি সেন্ট্রাল দিল্লিতে থাকবেন। সেই বাড়ি এখন মেরামতের কাজ চলছে। প্রিয়াঙ্কা একসময় স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের সিকিউরিটি পেতেন। ১৯৯৭ সালে তাঁকে ওই বাংলোটি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আর তিনি এসপিজি নিরাপত্তা পান না। তাই বাংলোটি তাঁকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি চাইত তাহলে প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ৩৫ নম্বর লোদি এস্টেটের ওই বাংলোতেই তিনি থাকতে পারতেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তেমনটা চায়নি। প্রিয়াঙ্কাকে যে নোটিশ কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, আপনি আর এসপিজি প্রোটেকশন পাচ্ছেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে যে সরকারি বাংলোটা আপনাকে দেওয়া হয়েছিল সেখানে আপনি আর থাকতে পারবেন না।
কংগ্রেসের এক প্রভাবশালী নেতা কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরীকে নাকি আর্জি জানিয়েছিলেন, এই বাংলোটি কংগ্রেসের কোনও এমপি’কে দেওয়া হোক। তাহলে সেখানেই প্রিয়াঙ্কা আরও কিছুদিন থাকতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী হরদীপ পুরী।
সেই সময় প্রিয়াঙ্কা ট্যুইটে বলেছিলেন, ‘কেউ যদি আমার কথা ভেবে আপনাকে অনুরোধ করে থাকেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু আমি কাউকে এধরনের অনুরোধ করিনি।’ তারপর প্রিয়াঙ্কা জানায় আগস্টের ১ তারিখের আগেই বাংলো ছেড়ে দেবেন। বাস্তবে হলও তাই।