ভারতে গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই আক্রান্তের আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। গতকাল একদিনে ২৮,৬৩৭ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সেই সংখ্যাটা এদিন আরও খানিকা বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও প্রায় ২৯ হাজার মানুষ নতুন করে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা নয় লাখের কাছে পৌছেছে।
তবে সেই সঙ্গে সুস্থতার হারও বেড়েছে। একদিনে প্রায় ১৯ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দেশে মোট সুস্থও হয়ে উঠেছে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ২৮,৭০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ১৩ জুলাই সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৭৮,২৫৪।
গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৩,১৭৪। ভারতে করোনায় মৃত্যুহার ২.৬৪ শতাংশ। দেশে মৃত্যুহার ফের প্রতিদিন কমছে। যত বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হবে তত মৃত্যুহার কমবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে করোনা থেকে সুস্থ ওয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। বুলেটিন জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮,৮৫০ জন। ভারতে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা ৫,৫৩,৪৭১ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৬৩.০২ শতাংশ। এই সুস্থতার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেশে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩,০১,৬০৯।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। এই মুহূর্তে মারাঠা প্রদেশে মোট আক্রান্ত ২,৫৪,৪২৭। মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ১০,২৮৯। তবে এর মধ্যেই এই রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৪০,৩২৫ জন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১,০৩,৮১৩।
মহারাষ্ট্রের মধ্যে আবার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবথেকে বেশি বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৮,৪৭০। মৃত্যু হয়েছে ১,৯৬৬ জনের। খুব বেশি পিছিয়ে নেই দিল্লিও। ভারতের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দিল্লিতে এই মুহুর্তে আক্রান্ত হয়েছেন ১,১২,৪৯৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩,৩৭১ জনের। গুজরাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১,৮২০ জন। মারা গিয়েছেন ২,০৪৫ জন। দেশে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্ত্রের সংখ্যা ৩৬,৪৭৬। মৃত্যু হয়েছে ৯৩৪ জনের। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাত, ও উত্তরপ্রদেশ, এই পাঁচ রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখের কাছাকাছি, এই পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৮৩,৬৮৭ জন।
এই সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ৬৬.৪৬ শতাংশ। মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই পাঁচ রাজ্যের পরিসংখ্যান তো আরও ভয়াবহ। এই পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে মোট ১৮,৬০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যা দেশের মোট মৃত্যুর ৮০.২৮ শতাংশ।