• facebook
  • twitter
Wednesday, 27 November, 2024

করোনা গোপন করছিল চিন, সরব হলেন পালিয়ে যাওয়া হংকংয়ের বিজ্ঞানী

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা জানা সত্ত্বেও চিন তা গোপন করেছিল। এই অভিযোগ নতুন নয়। এবারে হংকংয়ের বিজ্ঞানী যে দাবি তুললেন, তাতে নতুন করে চাপ বাড়লো বেজিংয়ের ওপর।

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা জানা সত্ত্বেও চিন তা গোপন করেছিল। এই অভিযোগ নতুন নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ অনেকেই এ ব্যাপরে সরব হয়েছিলেন। এবারে হংকংয়ের বিজ্ঞানী যে দাবি তুললেন, তাতে নতুন করে চাপ বাড়লো বেজিংয়ের ওপর। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন হংকংয়ের ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়াং।

তার অভিযোগ, অনেক আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানত চিন। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনেনি তারা। অনেক দেরিতে তা বিশ্ববাসীকে জানানো হয়েছে। দেশে যারা জানত, তাদেরও মুখ খুলতে দেওয়া হয়নি।

ডক্টর লি মেন ইয়াং হংকংয়ের স্কুল পাব্লিক হেলথের ভাইরোলজি ও ইমিউনোলজি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। গত ২৮ এপ্রিল তিনি চিন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে হংকং থেকে আমেরিকায় পালিয়ে যান। এবার আমেরিকায় বসে তিনি অভিযোগ তুললেন করোনাভাইরাস যে মারাত্মক চেহারা নিতে পারে, তা অনেক আগেই জানত চিন সরকার।

তিনি নিজেও এই বিষয়টি নিয়েই গবেষণা করছিলেন। কিন্তু তিনি যাতে তথ্য ফাঁস করে না দেন সে জন্য চিন সরকার তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে সরাসরি আক্রমণ চালানো হয় তার ওপর। কিন্তু তাতেও যখন কাজ হচ্ছে না দেখা যায়চতখন চিনের গুণ্ডারা তার ওপর আক্রমণ করে। প্রাণ বাঁচাতে চিন সরকারের চোখ এড়িয়ে আমেরিকায় পালিয়ে যান তিনি।

ওই গবেষক ভাইরোলজিস্ট বলেছেন, গত বছর ডিসেম্বরের আগে থেকেই চিনে সার্স-১ এর মতো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের চরিত্র সার্স-১ এর থেকে আলাদা ছিল। আমার সুপারভাইজারকে এই নতুন চরিত্রের ব্যাপারে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেটাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। আমি তাই চুপিচুপি একাই গবেষণা শুরু করি। আমার গবষণারকথা জানতে পেরে সরকার আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। আমার কম্পিউটারে সাইবার আক্রমণ চালানো হয়।

লি মেং ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরই তিনি জানতে পানে করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। কিন্তু চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’কে এ ব্যাপরে অনেক পরে তথ্য দেয়। শুধু তাই নয়, হু’কে করোনা কথা যখন বলা হয়, তখনও এর ভয়াবহতার কথা বলা হয়নি। সবটাই গোপন করে যায় চিন সরকার। ইয়াং’এর অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র উপদেষ্টা প্রফেসর মালিক পেইরিসও এই ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু তিনিও এ বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করেননি।