• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাতিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা

কমিশন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, টার্মিনাল সেমিস্টার বা ফাইনাল ইয়ারের সমস্ত পরীক্ষা সেপ্টেম্বর শেষে অফলাই (পেন এবং পেপার) অথবা অনলাইনে নেওয়া হবে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Photo: iStock)

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাতিল করা হল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা। কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেওয়া হবে বলে জানালেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। শনিবার তিনি বলেন, করোনা সংকটকে সামনে রেখে দিল্লি সরকার চূড়ান্ত পরীক্ষা-সহ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি দিয়েছেন, যাতে কেন্দ্রের অধীনে থাকা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির জন্য এই একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির টার্মিনাল সেমিস্টার সংক্রান্ত সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়, সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী চলতি বর্ষের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা অবশ্যই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, টার্মিনাল সেমিস্টার বা ফাইনাল ইয়ারের সমস্ত পরীক্ষা সেপ্টেম্বর শেষে অফলাই (পেন এবং পেপার) অথবা অনলাইনে নেওয়া হবে। অবশেষে চরম উৎকণ্ঠা ও দড়ি টানাটানির পর শুক্রবার প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসির ফলাফল। ফলপ্রকাশের দিনটা কাটল নিতান্তই সাদামাটা ভাবে।

করোনার আবহে সব পরীক্ষা না হওয়া এবং গড় নম্বর দিয়ে ফলপ্রকাশ করার জন্য এ বছর প্রকাশ হয়নি মেধাতালিকা। ফলে অনেক দিন পর জানা গেল না, দশম ও দ্বাদশের ফলে কে দেশের মধ্যে প্রথম, কে রাজ্যে সেরার সেরা! শহরের সিংহভাগ স্কুলও ছিল বন্ধ। হাতেগোনা যে কয়েকটি স্কুলে ফলপ্রকাশের পর পড়ুয়ারা হাজির হয়েছিল, তাদেরও তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, চিন, ইউক্রেন, নেপাল, ফিলিপিন্সের মতো বহু দেশেই ডাক্তারি পড়তে গিয়ে শেষবেলায় ভারতে ফিরে আসতে হয়েছে কয়েক হাজার হবু চিকিৎসককে। কেউ ইন্টার্নশিপ শুরুর আগেই, কেউ বা মাঝপথে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় অর্ধেক ডাক্তারি পড়ুয়া চিনেই পড়াশোনা করেছেন।

এমবিবিএসের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা মিটে যাওয়ার পর ‘প্রভিশনাল পাশ সার্টিফিকেট’ হাতিয়ার করে আগামী ৩১ আগস্টের এফএমজিইর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরীক্ষা পরিচালক সংস্থা ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশন (এনবিই) সম্প্রতি জানিয়েছে, ওই শংসাপত্র আর গ্রাহ্য হবে না প্রবেশিকায়।