• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আম্ফানে ত্রাণ বিলিতে ভুল হয়েছে, স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন, আম্ফানের ত্রাণের টাকা তাড়াহুড়ো করে পাঠাতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভুল হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

রেশনের পরে আম্ফানের ত্রাণ নিয়ে আগে থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন, আম্ফানের ত্রাণের টাকা তাড়াহুড়ো করে পাঠাতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভুল হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি, সবাই বেনিফিট পাবে। এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না।

তবে মুখ্যমন্ত্রী যাকে ভুল বলছেন, বিরোধীদের কাছে তা দুর্নীতির মতো অন্যায়। রথের পরের দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে আম্ফানের ত্রাণ দুর্নীতি সরব হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তীর মতো বিরোধী নেতারা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতির পর এদিন ফের সরব হয়েছেন তারা।

সোমবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল নেতাদের চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। দলের নেতাদের লুঠ ঢাকতে মুখ্যমন্ত্রী এখন এসব কথা বলছেন। দিলীপবাবুর বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে টাকা দিতেই হবে। আর যেসব তৃণমূল নেতারা টাকা মেরে দিয়েছিল। তাদের টাকা ফেরত নিয়ে ছেড়ে দিলে চলবে না। সরকারি টাকা চুরির জন্য শাস্তি দিতে হবে।

অন্যদিকে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী সোমবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সৎসাহস থাকলে সেদিনের বৈঠকও লাইভ দেখানোর বন্দোবস্ত করতেন। সেদিন তো আমরা নেতাদের নাম ধরে ধরে বলে দিয়েছিলাম, কার কোন আত্মীয় অন্যায়ভাবে আম্ফান ত্রাণের টাকা পেয়েছে। সুজনবাবু দাবি করেন, কারা ত্রাণের টাকা পাচ্ছেন, তাদের নামের তালিকা বিডিও অফিসের সদর দফতরের দরজার সামনে ঝুলিয়ে দিন।

এর আগে বিরোধীদের নিশানায় আম্ফান ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি এমন প্রচার পায় যে, জনতাই পঞ্চায়েত প্রধানকে কান ধরে ওঠবোস করার মতো শাস্তিও দেন। এই বিষয়টি জনমানসে প প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে সেই আশঙ্কায় শাসক দলের শীর্ষনেতারা নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছে, রেশন বা আম্ফান ত্রাণ নিয়ে নিচু তলার নেতারা যেন কোনও হস্তক্ষেপ না করে। যা করার প্রশাসনই করবে।