গত সপ্তাহে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে এক সিআরপিএফ জওয়ান এবং পাঁচ বছরের শিশুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। পাল্টা অভিযানে ওই জঙ্গি দলের দু’জনকে গত মঙ্গলবার অনন্তনাগেই খতম করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। তবে কোনওভাবে পালিয়ে গিয়েছিল সেদিনের জঙ্গি হামলার মূল পাণ্ডা জাহিদ দাস। গতকাল রাতে তাকেও খতম করেছে সেনাবাহিনী। শ্রীনগরের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ওই জঙ্গি।
জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীনগরের মালবাগ এলাকায় যৌথভাবে অভিযান চালায় সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশনের বিশেষ টিম। গোপন সূত্রে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে খবর ছিল যে এই এলাকাতেই গা-ঢাকা দিয়েছে জাহিদ। এনকাউন্টারে খতম হয়েছে সে। তবে সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতেই শহিদ হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ান।
প্রসঙ্গত গত ২৬ জুন শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বেজবেহরা এলাকায় সিআরপিএফের ৯০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ওপর আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিজবেহরা এলাকায় হাইওয়ে পদশাহী বাগ ব্রিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল সিআরপিএফের ১০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান।
সেদিন হাইওয়ের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর পেট্রলিং চলার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জঙ্গি এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেওয়ার সময় জঙ্গিদের গুলি লাগে জওয়ান শ্যামল কুমার দে’র। বাবার সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিল এক শিশু। জঙ্গিদের গুলিতে লুটিয়ে পড়ে সেও। রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় সেনা জওয়ান ও ওই শিশুকে বিজহেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শহিদ জওয়ান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। যে দুই জঙ্গি সেদিনের হামলায় যুক্ত ছিল তাদের ৩০ জুন মঙ্গলবার সকালে এনকাউন্টারে খতম করা হয়। উপত্যকার পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং জানান, অনন্তনাগের ওয়াঘামা এলাকায় এনকাউন্টারে খতম হয়েছে সেদিনের হামলাকারী দুই জঙ্গি।