• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ভারতে ৫৯ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় বেজিং ‘কঠোরভাবে উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সোমবার ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫৯ চিনা মোবাইল অ্যাপ। নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে টিকটক, শেয়ারইট ও ইউসি ব্রাউজার।

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

ভারতে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর চিনের পক্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য টিকটক সহ ৫৯ চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘চিন নাকি এব্যাপারে কঠোরভাবে উদ্বিগ্ন।’ সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে চিনের পক্ষে জানানো হয়েছে।

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সোমবার ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫৯ চিনা মোবাইল অ্যাপ। নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে টিকটক, শেয়ারইট ও ইউসি ব্রাউজার। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষে এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারা এবং ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধির সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করেছে মোদি সরকার। দেশের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই টিকটকের পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। তাদের দাবি ভারতীতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তারা চিনে পাচার করে না। সরকারের সামনে তাদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হোক। এদিকে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি কমিটি আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে তাদের মতামত প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

আয়কর দফতর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক, আইনমন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে সব নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে। সূত্রের দাবি টিকটক নিজেই প্লে স্টোর থেকে তাদের অ্যাপ তুলে নিয়েছে।

সংস্থার পক্ষে নিখিল গান্ধি জানিয়েছেন, সরকারের নিকট সংস্থার বক্তব্য পেশে সুযোগ পাওয়া গিয়েছে। তবে সংস্থার পক্ষে জানাতে চাই, ‘টিকটক ব্যক্তিতথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে আইনে যা বলা রয়েছে তা সকল সময়েই মেনে চলে। ভারতীয় গ্রাহকদের কোনও তথ্যই চিন বা অন্যকোনও দেশে পাচার করার কোনও প্রশ্নই নেই। গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষা সংস্থার কাছে প্রধান কর্তব্য বলে মানা হয়ে থাকে।