ভূমি থেকে আকাশে যে কোনো লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করবে ক্ষেপণাস্ত্র। লহমায় ভেঙে গুড়িয়ে দবে শত্রুপক্ষের কমব্যাট ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট। একবারে তিনশোর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে পারব। মিসাইল ছুঁড়ে ঘায়েলও করতে পারবে। দেশের সুরক্ষায় এমনই অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট ওয়েপন সিস্টেম তথা সারফেস টু সারফেস—এয়ার টু এয়ার মিসাইলের জন্যই অপেক্ষা করছিল ভারত।
চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাত বাড়ায় এই মিসাইল সিস্টেমের জন্যই রাশিয়ায় ছুটে গিয়েছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বহু প্রতিক্ষিত সেই এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম আগামী বছরের মধেই ভারতর হাতে চলে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনের সঙ্গে চরম উত্তেজনার আবহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত। বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে রাশিয়া থেকে ১২টি অত্যাধুনিক সুখোই ফাইটার জেট এব ২১টি নয়া ভার্সানের মিগ ২৯ কেনার পরিকল্পনা করেছে প্রতিরক্ষা দফতর। যার জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডাবল ইঞ্জিন মাল্টিরোল এয়ার সুপিরিয়ারিটি ফাইটার জেটগুলির অন্যতম হল এই সুখোই। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি সুখোইয়ের আরও আধুনিকীকরণ করে তার থেকে ব্রাহ্মস মিসাইল ছোঁড়ার প্রযুক্তি যোগ করেছে ভারত। সেই সঙ্গে মিগ ২৯ ফাইটার জেটের নতুন ভার্সনও বায়ুসেনার শক্তিশালী হাতিয়ার। চিনের মোকাবিলায় এয়ার ডিফেন্সকে আরও মজবুত করতে এখন আনা হচ্ছে এস ৪০০ ট্রায়ম্ফ ।
১৯৯০ সালে রাশিয়া তৈরি করেছিল এই ডিফেন্স সিস্টেম। আগে তার নাম ছিল এস ৩০০ পিএমইউ। এই অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট মিসাইল সিস্টেম রাশিয়া তৈরি করেছিল ১৯৯০ সালে। এই সিস্টেমের ডিজাইন করেছিল আলমাজ সেন্ট্রাল ডিজাইন ব্যুরো। ২০০৭ সাল থেকে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছে এই অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ ।