বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের অপদার্থতায় দেশের সীমান্ত অঞ্চল ও সামগ্রিকভাবে দেশ এক সংকটের মুখোমুখি। এদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি একথা বলেন। দেশের নানান সমস্যা বিষয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে।
বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি বলেন, দেশ নানাভাবে সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছে। আর্থিক মন্দা, অতিমারী আর সীমান্তে উত্তেজনা। এসবই এনডিএ সরকারের অপদার্থতার কারণেই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়েও একটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশবাসীর মনে এনডিএ সরকারের খামখেয়ালিপনায় আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন। তবে কুটনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নিয়ে এই সঙ্কট মোচনের চেষ্টা করা হবে বলে আশা করা যায়।
কাশ্মীর উপত্যকার লাদাখ গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিরোধীরা সকারের কাছে তথ্য জানতে চাইছে। কিন্তু সরকারিভাবে তথ্য দেওয়ার পরিবর্তে চুপ করে থাকার পথ বেছে নিয়েছে সরকার বলে অভিযোগ।
এদিনও রাহুল গান্ধি সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকেই তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের অঞ্চলে কেউ ঢোকেনি বা আমাদের কোনও ছাউনি দখল হয়নি। কংগ্রেসের বৈঠকে প্রশ্ন করা হয় তবে কি প্রধানমন্ত্রী বলতে চাইছেন ভারতীয় অঞ্চলকে চিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, আমাদের পক্ষের এলএসি দিকে চিনের কোনও উপস্থিতি ছিল না এবং তা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতার নিদর্শন।
১৬ বিহার রেজিমেন্টের সৈন্যদের আত্মত্যাগ চিনের প্রয়াসকে ব্যর্থ করে দিয়েছে, এমন ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে সরকার। পরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘সারেন্ডার মোদি’ বলে উল্লেখ করেন। টুইট করে রাহুল চিনের এক সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসার প্রতিবেদন পোষ্ট করেন।