ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সংঘর্ষে কমান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বীকার করে নিল চিন। সোমবার পূর্ব লাদাখের চুশুলের অদুরে চিন নিয়ন্ত্রিত মলডো এলাকায় দ্বিপাক্ষিক কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে চিন সেনার তরফে কম্যান্ডিং অফিসার সহ কয়েকজন সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রথম গালওয়ানের ঘটনার পর চিনের তরফে তাদের সেনার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া হল। ভারতীয় সেনার তিন নম্বর কোরের কম্যান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনালে হরেন্দ্র সিং এবং পিএলএর একই ভরের এক আধিকারিকের বৈঠকে এলএসি’তে উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
চিনা বাহিনী অনুপ্রবেশের পর গত ৬ জুন দু’ক্ষের লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে স্থির হয়েছিল দু’পক্ষই উত্তেজনা কমাতে মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসবে। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি পয়েন্ট ১৪’তে পালন করেনি চিনা ফৌজ। ১৫ জুন রাতে এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। সেই সময় শুরু হয় হামলা। নিহত হন কর্নেল বি সন্তোবাবু সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭৬ জন। ভারতীয় সেনা খবর পেয়েছিল চিনা বাহিনীর অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। পারদ ক্রমশ চড়ছে বুঝতে পেরে ভারত-চিন দু’পক্ষই সীমান্তে সেনা তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এলএসি’তে সেনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার প্রধানদের বৈঠকে স্থির হয় সেনাদের স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়। ভারতের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে চিনকে ৪ মের আগে অবস্থানে পিছিয়ে যাক দুই বাহিনী।