দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে পর্যালোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নর্থ ব্লকে সর্বদলীয় বৈঠক করলেন। সর্বদলীয় এই বৈঠকে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়াণার কিছু অংশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণের পর সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপিকে বৈঠকে ডাকা হয়।
ইতিমধ্যে দিল্লির সঙ্গে সীমান্ত সিল করেছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়াণা। এদিকে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে তারা আন্তরাজ্য সফর নিয়ন্ত্রণে জোর দেবে। কারণ নয়ডা, গাজিয়াবাদের চেয়ে চল্লিশ শতাংশ বেশি সংক্রমণ দিল্লিতে।
তবে হরিয়াণা সরকার জানায়, তারা আন্তরাজ্য সফরে কোনও নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় না। যে কেউ আন্তরাজ্য সফর করতে পারেন। এদিকে সোমবার দিল্লির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল মজুত ছিল।
দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অনিল কুমার টুইট করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষে করোনাভাইরাস পর্যালোচনার জন্য চিঠি দিয়ে দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এদিকে করেনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই, বরং বেনড়ই চলেছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে এগারো হাজার জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন লাখ বত্রিশ হাজার চারশো চব্বিশ। গত কদিনে আরও তিনশো পঁচিশ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাড়ে নয় হাজারের বেশি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রন্ত এক লাখ আট হাজার। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাত।