মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের দুই হটস্পট ওরলি ও ধারাভি বস্তি এলাকায় একসময় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শঙ্কাজনক। তবে সেই পরিস্থিতিতে বদল আসছে ক্রমশ। বৃহন্মুম্বই পুরসভার রিপোর্ট বলছে, গত এক সপ্তাহে ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ওরলিতেও। সংক্রামিতের সংখ্যা দ্বগুণ হওয়ার সময় অর্থাৎ ডাবলিং রেট বেড়েছে, সুস্থতার হারও অনেক বেশি।
মে মাসে ওরলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছিল। গড়ে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছিল ৬০ জন করে। জুনে সেই সংখ্যা নেমেছে ৩৫ থেকে ৪০ জনে। এশিয়ার বৃহত্তম ওই বস্তিতে ১০ লক্ষ মানুষ বাস করলেও, গত সাতদিনে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ধারাভিতেও সংক্রমণ বৃদ্ধির হারও কমেছে।
ওরলি এবং ধারাভিতে এখন সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১.৯ ও ১.৭ শতাংশ। বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)’র তথ্য বলছে, এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছিল ধারাভি ও ওরলিতে।
ডাবলিং রেট অর্থাৎ সংক্রামিতের সংখ্যা দ্বিগুন হওয়ার সময় ক্রমশই কমছিল। কম দিনে বেশি সংখ্যক মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সেই ডাবলিং রেট এখন বেড়েছে। ধারাভিতে ৪৪ দিন এবং ওরলিতে ৩৮ দিন। রিপোর্ট আরও বলছে, এই দুই এলাকায় সুস্থতার হারও বেশি। করোনা আক্রান্তদের অনেকেই সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার প্রায় ৫০।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে মহারাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,৯৭৫। মৃত্যু হয়েছে তিন হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে ধারাভি ও ওরলি আশার আলো দেখাচ্ছে বলেই জানিয়েছে বিএমসির জি নর্থ ওয়ার্ডের সহকারী মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কিরণ দিগভকর।
তিনি বলেছেন, সংক্রমণ সন্দেহে থাকা রোগীদের আগেই আইসোলেট করে নেওয়া হয়েছিল। র্যাপিড স্ক্রিনিং, টেস্টিং-এ সংক্রামিতদের দ্রুত চিহ্নিত করা গেছে। একই শৌচাগার ব্যবহার করেন যাঁরা সেইসব মানুষদের শনাক্ত করে তাঁদেরও কোভিড টেস্ট করানো হয় এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।