করোনা সংক্রমণের লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা। বাধ্য হয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেলে বা অন্য কোনও উপায়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে ট্রেনে করে শ্রমিকদের তাঁদের ফেরানোর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সেইমতো গত ১ মে থেকে শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ শ্রমিককে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের তরফে চাহিদা কমছে।
রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪১৫৫ টি ট্রেনে করে প্রায় ৫৭ লাখ শ্রমিককে ফেরানো হয়েছে তাদের রাজ্যে। এবার চাহিদা কমছে। সাধারণত রাজ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করেই এই ট্রেন চলে। রবিবার মাত্র ৬৯ টি ট্রেন চলেছে। মঙ্গলবার চলেছে ১০২ টি ট্রেন।
রেলমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনের চাহিদা কমেছে। খুব কম ট্রেন চলছে। তার কারণ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বেশিরভাগকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়ি হয়তো এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার পশ্চিম রেলওয়ের তরফে মাত্র ২ টি ট্রেন চালানো হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত রেলমন্ত্রকের কাছে ৩২ টি ট্রেনের আবেদন এসেছে। গত ২৯ মে রেলমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের আরও কত শ্রমিক আটকে রয়েছেন, তার একটা তালিকা মন্ত্রককে দিতে।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত সপ্তাহ থেকেই ট্রেনের আবেদন কমছে। ২২ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১৫২৪ টি ট্রেন চলেছে। গত সপ্তাহে ৯২৩ টি ট্রেনের আবেদন করা হয়েছিল। যতদিন রাজ্যগুলি একটি ট্রেনেরও আবেদন করবে, ততদিন এই পরিষেবা চালানো হবে বলেই জানিয়েছেন বিনোদ যাদব।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ট্রেন ঢুকেছে উত্তর প্রদেশে (১৬৭০ টি) তারপরেই বিহার (১৪৮২ টি), ঝাড়খণ্ড (১৯৪ টি), ওড়িশা (১৮০ টি) ও পশ্চিমবঙ্গ (১৩৫ টি) রয়েছে। যে পাঁচটি রাজ্য থেকে সবথেকে বেশি ট্রেন ছেড়েছে সেগুলি হল, গুজরাত (১০২৭ টি), মহারাষ্ট্র (৮০২ টি), পঞ্জাব (৪১৬ টি), উত্তরপ্রদেশ (২৮৮ টি) ও বিহার (২৯৪ টি)।