• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাজ্যপালকে অভিযোগ সুজনের

আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ত্রাণসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আজ রাজভবনে যান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

জগদীপ ধনকড় (Image: Twitter/@jdhankhar1)

আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ত্রাণসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আজ রাজভবনে যান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাম পরিষদীয় দলের তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ আমরা রাজ্যপালের কাছে জানিয়েছি।

প্রথমত, আম্ফানের পরে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী এসে রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে গিয়ে দিল্লি থেকে এক হাজার কোটি টাকার ত্রাণ পাঠিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোনও কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণে আসেনি। ফলে ত্রাণের টাকার সদ্বব্যবহার হচ্ছে কিনা তা দেখছে কে?

একই সঙ্গে রাজ্যপালকে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় দল পশ্চিমবঙ্গ সফরে এলে বাম পরিষদীয় দল এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে হবে। আম্ফান প্রবর্তী সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধীদেরও বক্তব্য রয়েছে। সেই বক্তব্য কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের কাছে পৌছে দেওয়ার সুযোগের দাবি এদিন জানান তিনি। সুজনবাবু বলেন, এই মর্মে তারা রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও একটি চিঠি দিয়ে রেখেছেন।

এর পাশাপাশি সুজনবাবু বলেন, এখনও পর্যন্ত যে ত্রাণ প্রক্রিয়া সরকারের তরফে চালানো হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই অপ্রতুল। দুই ২৪ পরগনা’সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় এখনও অনেক জায়গায় ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বহু বাড়ি। অনেকেই গৃহহীন, আশ্রয়হীন অবস্থায় বিভিন্ন শিবিরে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছেন। একাধিক ব্লকে এখনও বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সোজা কথায় রাজ্য সরকার তার দায়দায়িত্ব পালন করছে না।

তাঁর আরও অভিযোগ গ্রামাঞ্চলের একাধিক জায়গায় বাড়ি, গাছ পড়ে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। অনেক জায়গায় পঞ্চায়েত এই গৃহহীন মানুষদের থেকে ত্রাণের আবেদনও নিচ্ছে না। আমরা দাবি জানিয়েছি, অনলাইন আবেদনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দু’ধরনের নীতি রয়েছে। তাও রাজ্যের বিশাল সংখ্যক মানুষ খাদ্যবস্তু পাচ্ছেন না।

সুজনবাবু বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক বা রাজ্য সরকারের গীতাঞ্জলী প্রকল্প, রাজ্যের সমস্ত মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ চাই। তা না হলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বারবার ছাদ ভাঙবে, টালি উড়ে যাবে। মানুষ ঘরছাড়া হবে। আর যতবার সেই উপলক্ষ্যে ত্রাণ আসবে, ততবার কাটমানির রমরমা হবে।

তিনি বলেন, আমরা রাজ্যপালের কাছে দাবি জানিয়েছি, রাজ্যের মানুষের মাথার ওপর ছাদ যাতে নিশ্চিত হয়, সেটা তিনি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করুন।