দিল্লি, ১২ মার্চ – তাঁর খাস তালুক গুজরাতে সভা করছে কংগ্রেস। আর সেদিনই মহাত্মা গান্ধিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গান্ধিজির ইতিহাস প্রসিদ্ধ ডান্ডি অভিযানকে স্মরণ করে মঙ্গলবার ব্লগ লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে তিনি লেখেন, গান্ধিজির দেখানো পথের উল্টো দিকে চলাই কংগ্রেসের কাজ। লেখার একেবারে শুরুর দিকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ডান্ডি অভিযান কিভাবে হবে তার শুরু থেকে শেষ জানতেন বল্লভভাই। কংগ্রেসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইউনিয়ন হোম মিনিস্টার)।
মোদি বলেন, একাধিক লেখায় মহাত্মা বলেছেন, তিনি বৈষম্যের বিপক্ষে, সাম্যের পক্ষে। কিন্তু কংগ্রেস সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে দ্বিধা করেনি। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জাতি দাঙ্গা বা দলিতদের ওপর সর্বাধিক আক্রমণ নেমে এসেছে কংগ্রেসের রাজত্বে। এছাড়া আরও কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরে তাঁর দাবি, গান্ধির দেখানো পথ আর কংগ্রেসের সংস্কৃতি এক নয়। আর তাই গান্ধি চেয়েছিলেন কংগ্রেস ভেঙে যাক। ১৯৪৭ সালে ডেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান্ধিজির মনোভাব আরও স্পষ্ট হয়।
মহাত্মা একবার বলেছিলেন, অপশাসন এবং দুর্নীতি একসঙ্গে চলে। একথা উল্লেখ করে মোদি লেখেন, আমাদের সরকার দুর্নীতিকে শেষ করতে সব রকমের উদ্যোগ নিয়েছে। আর গোটা দেশ জানে কংগ্রেস এবং দুর্নীতি সমার্থক। টেলিকম থেকে সেচ, খেলা থেকে শুরু করে সংস্কৃতি বা শহুরে উন্নয়ন, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, গরিবের টাকায় কংগ্রেস নেতারা নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্বাস্থ্য ভালো করেছেন। কিন্তু গরিব মানুষ নিজেদের সামান্য চাহিদাটুকু মেটাতে পারেনি। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদি বলেন, গান্ধিজি গণতন্ত্রের কঠোর সমর্থক ছিলেন। আমি মনে করি, গণতন্ত্র সুস্থ সমাজের চালিকা শক্তি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে কংগ্রেস সেই গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করার কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় কংগ্রেসের অনেকে শুধু রাজনৈতিক কারণে স্বারাজ চেয়েছিলেন।