• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শরদের ডাকে শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অ-বিজেপি নেতাদের ভিডিও কনফারেন্স

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসছেন অ-বিজেপি জোটের নেতারা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই বৈঠক।

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসছেন অ-বিজেপি জোটের নেতারা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই বৈঠক। জানা গিয়েছে, এই আলোচনায় অংশ নেবেন এনসিপি’র শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধি, ডিএমকের স্ট্যালিন, সিপিআই (এম)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ওই বৈঠকে থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিল্লির বিধানসভার বৈঠকের পর একাধিক বিষয়ে এমনিতেই তিনি বিরোধী শিবির থেকে একটু দূরে দূরে থাকার অবস্থান নিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদি সরকারের ভূমিকা এবং দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বিরোধী দলগুলি কী ভূমিকা নিতে পারে তা নিয়েই আলোচনা হবে। উল্লেখ্য অ-বিজেপি নেতাদের এই বৈঠক হচ্ছে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের। গতকালই তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ দাবি করেন।

সূত্রের খবর, এর পরেই তিনি যোগাযোগ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি, তথা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে দিল্লির নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে চলেছে বিরোধী নেতারা। চলতি সপ্তাহে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও বিশেষ প্যাকেজ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে আজই ধর্ণায় বসেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির কয়েকজন স্থানীয় আপ নেতাও। দিল্লির রাজনৈতিক মহলের এক সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি চতুর্থ দফার লকডাউনের আগে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন।

সেই বিষয়টি নিয়েও বিরোধী নেতাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই ঘোষণার পরবর্তী পর্যায় দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের চার দফা ব্যাখ্যার পর বিক্ষিপ্তভাবে বিরোধী প্রতিক্রিয়া কিছু পাওয়া গেলেও, সামগ্রিকভাবে বিরোধীরা কী পদক্ষেপ নেবেন, তা নিয়েও বিরোধী নেতাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিযায়ীদের নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সে ব্যাপারে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে কীভাবে সমন্বয় করা যায় আলোচনা হবে তা নিয়েও।