ভারতে চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত প্রায় চারহাজার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৯৪০ জন। গত চব্বিশ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৫২।
এদিনের হিসেব পাওয়ার পর তুলনামূলক বিচারে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চিনকেও ছাড়িয়ে গেল বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে জানানো হয়েছে। তবে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার চিনের থেকে কম। চিনে যেখানে মৃত্যুর হার ৫.৫ শতাংশ সেখানে ভারতে ৩.২ শতাংশ। চিনে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৩৮ জন।
ইতিমধ্যেই ভারতে সুস্থতার হার ৩৫.০৮ শতাংশ। চিনে ২৩ জানুয়ারি থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং তা প্রত্যাহার করা হয় ৮ এপ্রিল তারিখে। ভারতে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে কেরলে ৩০ জানুয়ারি। ২৫ সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় দফার লকডাউন এখনও চলছে। লকডাউন চলা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণের সংখ্যায় ভারত দু’মাসের মধ্যে চিনকেও টপকে গেল।
শহরগুলিতেই সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি, ৬৭ শতাংশ। ৫০ শতাংশ আক্রান্ত মুম্বই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, পুনে ও চেন্নাইয়ে। সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া ঊনত্রিশ হাজার। দেশের মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ। মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৬১। মৃত্যু হয়েছে ২২৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮২৯ জন। কিন্তু রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। কো-মবিডিটিতে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৯১০। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৪৩ হাজার। বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৬৯৬। আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮৭ হাজার।