মোহালি, ১১ মার্চ – শিখর ধাওয়ানের সবসময় একটা চেষ্টা থাকে যখন সমালোচকরা তাঁকে একদম মুছে ফেলার কথা বলেন তখন আবার দুর্দান্তভাবে ফিরে আসা। ধাওয়ান নিজে বলেছেন, কেরিয়ারের কঠিন সময়েও ভেসে থাকার জাদুটা তিনি জানেন। কেরিয়ারের খারাপ সময়ে যে সমালোচনা হয় সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে গত ছয় মাসে শিখর ধাওয়ান একটিও আন্তর্জাতিক শতরান পাননি গত রবিবারের আগে। কিন্তু রবিবার নিজের কেরিয়ারের সর্বত্তম ইনিংস খেলার পর দল জিততে না পারলেও তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় সমালোচনার মুখে তার প্রতিক্রিয়া কি রকম হয়? ধাওয়ান জবাব দিয়েছেন তার নিজের জগতে বেঁচে থাকাটাই তাকে শান্ত হয়ে থাকার পথ করে দেয়। ধাওয়ান আরও বলেছেন, প্রথম কথা হল আমি কোনো খবরের কাগজ পড়ি না। যে খবর বা তথ্য আমি জানতে চাই না তা নিয়ে আমার কোনও আগ্রহও নেই। তাই আমাকে ঘিরে কি চলছে আমি তার খবর রাখি না কারণ আমি নিজের জগতে বাস করি। তাই আমার চিন্তাধারা কন পথে যাবে সেটা স্থির করি আমি নিজেই।
শিখর ধাওয়ান এমন একজন ক্রিকেটার তার মনের ভিতর কি চলছে তা বাইরে প্রকাশ করেন না। ধাওয়ান বলেছেন, যখন আমি সবচেয়ে ঠাণ্ডা ও শান্ত থাকি তখনই আমি সেরা পারফর্ম করি। ভালো খেলতে না পাওয়ার জন্য দুঃখ করা বা আফশোস করার কোনও জায়গা নেই। যখন আমি আঘাত পাই তখন আমি দ্রুত মুভ করার চেষ্টা করি। আমি সত্যিই জানিনা লকে আমার সম্পর্কে কি লিখছে। শুধু একটা ব্যাপার নিশ্চিত করি যে আমি ইতিবাচক চিন্তাধারার মানুষ এবং নিজের কাজটা করে যাই। এই শেষের ব্যাপারটা প্রায় প্রতিটি ভারতীয় ক্রিকেটার প্রায়ই বলে যায় এবং অধিকাংশ অনেকেই ব্যাখ্যা করে বলতে পারে না। এই নিজের কাজ বলতে কি বোঝায়? শিখর ধাওয়ান একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাঁচ হাজারের বেশি রান করেছেন। তাঁর কাছে তিনটি বিষয়ই প্রধান। এক নম্বর নিজের স্কিল নিয়ে কাজ করা। নিজের ফিটনেসের যত্ন নেওয়া এবং সবসময় সঠিক মনোনিবেশ করা। ধাওয়ান তার চেয়ে অনেক জুনিয়ার এবং একই রাজ্যের ক্রিকেটার। ঋষভ পন্থ সম্পর্কে সহানুভূতি জানিয়েছেন। স্টাম্পের পিছনে রবিবার ঋষভ পন্থের একটা ভয়ঙ্কর দিন কেটেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির বদলে ভারতের গত দুটি ম্যাচে পন্থকে উইকেটরক্ষক করা হয়েছিল। উইকেটরক্ষায় পুরোপুরি সফল না হওয়া ছাড়াও পন্থ একটি সহজ স্টাম্পিংয়ের সুযোগ নষ্ট করে। ধাওয়ান বলেছেন, অন্য তরুণদের মতো ঋষভ পন্থকেও সময় দিতে হবে। আমি বলতে চাইছি ধোনি ভাই এতবেশি ম্যাচ খেলেছে এত বছর ধরে যে তার সঙ্গে তুলনা করাটা কখনোই উচিত নয়। হয়তো এটা ঠিক ঋষভ পন্থ যদি স্টাম্পের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারতো তবে ম্যাচের গতিবিধি পাল্টে যেত। কিন্তু তারপর ম্যাচ দ্রুত আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। মাঠে শিশির পড়াটাও আমাদের হারের একটা বড় কারণ।