• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আস্ফান

বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সেই এপ্রিলের শেষ থেকে সাগরে বাসা বাঁধার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অবশেষে তা শক্তি বাড়াতে শুরু করল। ঘূর্ণিঝড় আস্ফান এখন সাগরে ফুঁসছে।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সেই এপ্রিলের শেষ থেকে সাগরে বাসা বাঁধার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অবশেষে তা শক্তি বাড়াতে শুরু করল। ঘূর্ণিঝড় আস্ফান এখন সাগরে ফুঁসছে। খুব শীঘ্রই আস্ফান শক্তিবৃদ্ধি করে ধেয়ে যেতে শুরু করবে ভারতীয় উপকূলের দিকে। তাঁর সম্ভাব্য অভিমুখ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তামিনাড়ু। তবে একটু এধার-ওধার হলে ছাড়বে না পশ্চিমবঙ্গকে।

দেশজুড়ে করােনা আতঙ্ক এখন গ্রাস করে রয়েছে দেশবাসীকে। তার উপর এখন আবার সাগরে বাসা বাঁধা ঘূর্ণিঝড় প্রবল বিক্রমে ধেয়ে আসতে পারে উপকূল অভিমুখে। বর্তমানে ঝড় খুই ধীর গতিতে এগােচ্ছে। যে কোনও সময়ে শক্তি বাড়িয়ে ফোঁস করে উঠতে পারে। ভয়ঙ্কর সাইক্লোনে রূপান্তরিত হওয়ার সমস্ত গুণই বর্তমান আম্ফানের।

আম্ফানের শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু আবহবিদরা জানিয়েছেন বুধবার থেকে আস্ফান শক্তি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করবে। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৬ মে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। এখন পর্যন্ত অভিমুখ তামিলনাড়ুর দিকে। কোনও কারণে উত্তর-পশ্চিমে ঘুরলে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায় হানা দিতে পারে। আর আরও ঘুরে এলে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় আস্ফানের যাবতীয় গতিবিধি। তখন স্পষ্ট করেই বলা যাবে কোনও রাজ্যে সরাসরি আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। আর কোন রাজ্যে তার প্রভাব পড়বে, তাও স্পষ্ট হবে আগামী দু’দিনের মধ্যে।

১৬ মে তামিলনাড়ু উপকূলে ধাক্কা খাওয়ার পর অভিমুখ পরিবর্তন করে অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়। সেখান থেকে দক্ষিণ ওড়িশার দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে জানিয়েছে আইএনসিওআইএস।

ওড়িশা উপকূল দুর্যোগের পূর্বাভাস আবার ইসিএমডব্লুএই-এর মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উত্তর অন্ধ্র উপকূলে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। প্রভাব পড়বে ওড়িশার উপকূলে। ওড়িশা উপকুল সংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ের আতাসও পড়বে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

পশ্চিমবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা পশ্চিমবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা আবহবিদরা আরও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আস্ফান যদি ওড়িশা উপকূলে ধাক্কা খেয়ে বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিকে অভিমুখ বদল করে, তখনই একমাত্র সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকুলে। তা হলে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ পরগনা জেলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর পরগনাতেও দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।