• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাংলার শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে মমতার হস্তক্ষেপ চাইলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে ফেরানাে নিয়ে রেল মন্ত্রকের ট্যুইটকে বিভ্রান্তিকর ও ভুল বলে দাবি করা হল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে।

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন (Photo: AFP)

বাংলার শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে ফেরানাে নিয়ে রেল মন্ত্রকের ট্যুইটকে বিভ্রান্তিকর ও ভুল বলে দাবি করা হল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে। শনিবার রাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে দাবি করেন, রেল মন্ত্রকের করা টুইটে যে কটি ট্রেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলির অনুমােদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের কোনও বদল হয়নি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গতকাল বা তার আগে। এই সিদ্ধান্তের এখনও কোনও বদল হয়নি।

শনিবার বিকেলে নবান্ন’এ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছিলেন, ১০’টি ট্রেনে করে বাংলার শ্রমিকদের ফেরানাে হবে। রবিবার একটি ট্রেন তেলেঙ্গানা থেকে মালদা পৌছবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। যদিও রেল মন্ত্রক জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের তরফে ‘শ্রমিক ট্রেন’ নিয়ে কোনও আবেদনই আসেনি।

শনিবার রাত ৯’টা নাগাদ রেল মন্ত্রকের তরফে টুইট করে বলা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অনুরােধ করার পর এই অনুমতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর মধ্যে দু’টি ট্রেন পাঞ্জাব থেকে, দু’টি ট্রেন তামিলনাড়ু থেকে, তিন’টি ট্রেন বেঙ্গালুরু থেকে, এক’টি তেলেঙ্গানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবে।

আরও একটি টুইট করে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ কোনও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি। মহারাষ্ট্র থেকে অন্তত ১৬’টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বাংলায় পাঠানাে প্রয়ােজন। ৬’টির জন্য রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু একটিও ঢােকার অনুমতি মেলেনি।

এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ একটি ভিডিও বার্তা টুইট করে জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ৭’টি ট্রেনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও একটি ট্রেনেরও অনুমতি দেয়নি। এরপর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ওই টুইটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দিদি দয়া করে দ্রুত অনুমতি দিন যাতে শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে ফিরতে বাধ্য না হয়। মহারাষ্ট্র সরকার ও রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতির জন্য তদ্বির চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।