করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। দু’য়েরই রেকর্ড হল ২৪ ঘণ্টায়। মঙ্গলবার সকাল আটটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে হিসাব দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, দেশে গত ঘন্টায় ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯০০ জন। মারা গিয়েছেন ১৯৫ জন কোভিড ১৯ রাোগী। এই নিয়ে দেশে মোট ৪৬,৪৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৬৮ এখনও পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ১২৭২৭ জন।
অর্থাৎ সুস্থ হওয়ার হার ২৭.৪ শতাংশ। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের প্রায় শতাংশই রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং দিল্লি- এই তিন রাজ্যে। গত কয়েক সপ্তাহে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং গুজরাত ছাড়াও ক্রমশ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার সবচেয়ে বেশি কোভিড আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতে। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৭ জন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এ যাবৎ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে এতটা বৃদ্ধি পায়নি রাজধানী শহরে। রবিবার যাঁরা নতুন করে কোভিড সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন ডাক্তার। এঁদের মধ্যে তিনজন হিন্দু রাও হাসপাতালের বাকি তিনজন কস্তুরবা হাসপাতালের।
ভারতে করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কোভিড আক্রান্ত এবং সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি। এশিয়ার বৃহত্তম বক্তি ধারাভিও রয়েছে এই রাজ্যেই। সেখানেও ক্রমশ ছড়িয়েছে সংক্রমণ। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের গ্রাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ভারতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘর বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কম। আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই মৃত্যুর হার বিভিন্ন।
সাধারণত মৃত্যুর মোট সংখ্যা ও আক্রান্তের মোট সংখ্যার হিসেবে মৃত্যুহার হিসেব করা হয়। কিন্তু অনেক দেশে টেস্টিং অনেক বেশি হচ্ছে। ফলে অনেক কম উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তিও ধরা পড়ছেন। তার ফলে সেখানে মৃত্যুর হার কম হচ্ছে। আবার অনেক দেশে আক্রান্তই কম ধরা পড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে সেখানে মৃত্যুর হার স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে। তাই মৃত্যুর হার কম মানেই মৃত্যুর মোট সংখ্যা কম সেটা কখনওই নয়।