দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং এমএসএমই দফতরের সম্পর্কিত মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্র কিভাবে চাঙ্গা করা যায় এবং তার জন্য কি ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা জরুরি সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
লকডাউনের ফলে একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র, মাঝারি ও প্রান্তিক শিল্প ক্ষেত্রটি চাঙ্গা করাই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই শিল্পের সঙ্গেই অধিকাংশ মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে রয়েছে।
এদিকে অর্থমন্ত্রক মাসিক জিএসটি রিপোর্ট প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় সমাধানমূলক প্রস্তাব সহ তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশা হবে বলে সুত্র মারফত জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রক যেমন- অসামরিক বিমান চলাচল, শ্রম দফতর এবং বিদ্যুৎমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে দেশ এবং বিদেশের বিনিয়োগে কিভাবে এমএসএমইণ্ডলি অবিলম্বে চালু করা যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। লকডাউনের সময়ে দরিদ্র মানুষের দুর্দশা দূর করার জন্য সরকার ১.৭ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে দরিদ্র মানুষকে খাদ্যশস্য দেওয়া, গ্যাস দেওয়া এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা করার কর্মসুচি গৃহীত হয়।
সরকার কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের দুর্দশা নিরসনে আবারও প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। সরকার প্রাথমিকভাবে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় ২৫ মার্চ ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। এবং পরে তা ৩ মে পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
লকডাউনের ফলে রেল, বাস, বিমানের মতো যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হয়ে যায়, দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে রয়েছে। মানুষের গতিবিধিও সীমাবদ্ধ হয়েছে। ৪ মে থেকে সরকার সবুজ ও কমলা জোনে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার পরিকল্পনা করেছে।
কিন্তু বেশকিছু জেলায় ১৭ মে পর্যন্ত একই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি জারি রাখা হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে। লাল জোনের মধ্যে পড়ে এমন জেলাগুলিতে কোনও রকম শিথিলতা যাতে না দেখা যায় তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।