• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আর্থিক প্যাকেজ ও লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রইল

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হটস্পটগুলি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এজন্য লকডাউনের কড়াকড়ি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বজায় রাখার পক্ষপাতী প্রধানমন্ত্রী।

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo: PBI)

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হটস্পটগুলি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এজন্য লকডাউনের কড়াকড়ি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বজায় রাখার পক্ষপাতী প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রীরা রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন।

৩ মে’র পর অবস্থা বিবেচনায় কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেবিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরির প্রামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ভিডিও কনফারেন্সে অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া স্কুল কলেজ, শপিং মল বন্ধ রাখা ও ধর্মীয় স্থানগুলিতে কোনওরকম জমায়েত নিষিদ্ধ করারও পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রীরা।

প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের প্রকোপ অনুযায়ী লাল, সবুজ ও কমলা রংয়ের জোনে এলাকা বিভক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীদের। ইতিমধ্যেই আর্থিক কাজকর্মে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এলাকা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক হলেও দেশে ছোট দোকানপাটের ব্যবসা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই আর্থিক প্যাকেজের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোনও সিদ্ধান্ত না জানিয়ে, দেশের আর্থিক অবস্থা যে ভাল তা জানাতে কসুর করেননি। লকডাউনের জেরে বহু ভারতীয় বিদেশে আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের বিষয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়। এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশ নেন।

বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কনফারেন্সে তিনি প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। আর কিছুদিন পরেই বর্ষা নামবে। এই সময় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সেকারণে তিনি এখন থেকেই প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বর্ষাকালে ভেজা আবহাওয়ায় ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ে। এদিন সেই আশঙ্কার কথাও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। লকডাউন শিথিল হলে সামাজিক দূরত্বের বিধি কিছুটা হলেও শিথিল হবে। কিন্তু অন্যান্য সুরক্ষা যেমন মাস্ক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিজেদের কাছে রাখা একান্ত জরুরি। বর্ষা এলে ফ্লু, সর্দি-কাশির সংক্রমণ আরও বাড়ে। করোনা সংক্রমণে এই জাতীয় উপসর্গ দেখা দেয়। তাই এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।

যদিও বর্ষাকালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিভাবে বাড়বে, সেব্যাপারে বিজ্ঞানী কিংবা চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তবে, অধিক তাপমাত্রা ভাইরাসের পক্ষে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। কিন্তু ভিজে বাতাসে প্রকোপ বাড়ে। সেদিক থেকেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।