মুম্বই ও পুনেতে বাড়ছে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা। এই অবস্থায় সেখানে ৩ মে লকডাউন তোলা সম্ভব হবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। রাজ্য প্রশাসনের অফিসাররা ইঙ্গিত দিয়েছেন, মুম্বই ও পুনেতে লকডাউন চলতে পারে আরও এক মাস। অর্থাৎ সেখানে জুন মাসে ধীরে ধীরে সব স্বাভাকি হতে শুরু করবে।
রাজ্য প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ অফিসার বলেছেন, এখন লকডাউন তোলার প্রশ্নই ওঠে না। মুম্বই ও পুনেতে করোনা পজিটিভ রোগীরখ্যা বাড়ছে। এখন ওই দুই জায়গায় আরও কড়াকড়ি করতে হবে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে কেবলমাত্র মুম্বইতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারেও বেশি মানুষ, যা গোটা মহারাষ্ট্রের আক্রান্তের ৬৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার নতুন করে ৫২২ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে সংক্রমণের নমুনা। যার ফলে এখন মুম্বইতে কোভিড সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৪০২৫। মহারাষ্ট্রের অন্যান্য সব জেলা মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৫৬ জন। সেখানে শুধু মুম্বইতেই সংখ্যাটা ৫২২।
একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার এই হারে বৃদ্ধি দেখে উদ্বিগ্ন উদ্ধব ঠাকরে সরকার। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল সকাল ৮’টা পর্যন্ত মারাঠা প্রদেশে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬৪৩০, মৃত্যু হয়েছে ২৮৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৪০ জন।
বৃহন মুম্বই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে এর আগে ১৯ এপ্রিল মুম্বইতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৫৬ জন। তারপর এই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল একদিনে মুম্বইতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২। একলাফে অনেকটা বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, একদিনে এই বৃদ্ধির হার যথেষ্টই সংশয়ের। সেই সঙ্গে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বক্তি ধারাভি। মুম্বইয়ের এই এলাকাতেও ক্রমশ ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। মূলত
মুম্বইতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির এই হার দেখেই চিন্তায় রয়েছে বিএমসি কর্তৃপক্ষ। তাদের আশঙ্কা যে হারে মুম্বইতে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে হয়তো একমাসের মধ্যেই বাণিজ্যনগরীতে মােট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ৭০ হাজারে। বৃহস্পতিবার নতুন করে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, যার ফলে মহারাষ্ট্রে এখন মৃতের সংখ্যা মোট ২৮৩।
জানা গিয়েছে, এই ১৪ জন মৃতের মধ্যে তিনজনের বয়স ৪০-এর কম। দুলজন ষাটোর্ধ। ৯ জনের বয়স ৪০ থেকে ৫৯-এর মধ্যে। বিএমসি সুত্রে খবর, ১৪জন মৃতের মধ্যে সাতজনের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাস্থমা এবং হার্টের সমস্যাও ছিল। আর এই ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বইতে।