• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

করোনা ঠেকাতে ভিলওয়াড়া মডেল ইন্দোরে, বেড়েই চলেছে সংক্রমণ, ২০ দিনে আক্রান্ত ৯০০

দেশের পরিচ্ছন্ন শহরগুলির তালিকায় এক নম্বরেই ইন্দোর। অথচ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাবার মতো পরিকল্পনা শুরু থেকে নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। (Photo: IANS)

গত ২৪ মার্চ সংখ্যাটা ছিল ৪। পরের ২০ দিনে একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯২৩। হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে। রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণ। রীতিমতো উদ্বেগে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। করোনা ঠেকাতে এবার রাজস্থানের ভিলওয়াড়া মডেল অনুসরণ করতে চলেছে এই শহর।

দেশের পরিচ্ছন্ন শহরগুলির তালিকায় এক নম্বরেই ইন্দোর। অথচ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাবার মতো পরিকল্পনা শুরু থেকে নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, লকডাউনের বিধি ঠিকমতো মেনে চলা হয়নি। বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন ভেঙে জমায়েতও হয়েছিল। সেই কারণেই সংক্রমণ বহুজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মহম্মদ সুলেমান বলেছেন, ২৪ মার্চের পর থেকেই ইন্দোরে সংক্রামিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। প্রথম চারজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন করোনা পজিটিভ ৯২৩ জন। কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে আরও অনেককে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভিলওয়াড়া মডেল মেনে কন্টেনমেন্ট প্ল্যান ঠিক করা হয়েছে।

কী কী কন্টেনমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে ইন্দোরে? শহরের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে সার্ভে ও লোকজনের স্ক্রিনিং করার জন্য ১৮৪৪ জন সদস্যের টিম তৈরি করা হয়েছে। এই টিমের মধ্যে রয়েছেন পুরসভার হাজারজন কর্মী এবং বাকি ৮৪৪ জনের মধ্যে শহরের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং আশা কর্মীরা।

বুধবার থেকে ছ’দিনের র‍্যাপিড অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে। শহরের প্রতি বাড়িতে ঘুরে স্ক্রিনিং শেষ করতে হবে, প্রয়োজনে দ্বিতীয়বারও স্ক্রিনিং করা হবে। ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার আশিষ সিং বলেছেন, শহরের ৪৬৭’টি রুটে তিনটি টিমকে পাঠানো হয়েছে সার্ভে করার জন্য। প্রতি এলাকার প্রতি পরিবারের সার্ভে রিপোর্ট তাদের জমা করতে হবে।

কমিশনার আশিষ সিং বলেছেন, কোনও এলাকা আগেই সার্ভে করা হয়ে গেলে সেই এলাকাকে জিওগ্রাফির ইনফরমেশন সিস্টেমে চিহ্নিত করে ফেলা হবে। শহরের প্রতিটি জোনকে ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ করে ফেলা হবে। এভাবে ১৮০০ ইউনিট তৈরি হবে। সংক্রামিত এলাকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনও ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়লেই তাঁকে দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হবে। সেই ব্যক্তির পরিবার ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিটি বাড়িতে র‍্যাপিড টেস্ট শুরু হবে। কমিশনার আরও বলেছে, ভিলওয়াড়া মডেল অনুযায়ী, শহরজুড়ে মহা বনধ চালু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।