চিনের পাঠানো র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট ত্রুটিপূর্ণ বলে আগেই অভিযোগ এসেছে দেশের নানা রাজ্য থেকে। তার মধ্যে গতকাল, মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) দেশের সব রাজ্যকে অন্তত দু’দিনের জন্য র্যাপিড টেস্ট কিটের (আরটিকে) ব্যবহার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এই মুহুর্তে ভারতের হাতে র্যাপিড টেস্ট কিটের সংখ্যাও সীমিত। চটজলদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্ট কিট বানানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বায়োটেকনোলজি ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এসডি বায়োসেনসর নামে ওই ফার্মটি দক্ষিণ কোরিয়ার চাংচেওং প্রদেশে অবস্থিত। হরিয়ানার মানেসরে ওই ফার্মেরই একটি শাখা রয়েছে। সেখানে ভারতের জন্য পাঁচ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিট তৈরি হচ্ছে বলে খবর।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন গতকালই এসডি বায়োসেনসরের চেয়ারম্যান ইয়ং-শিক চোয়ের সঙ্গে দেখা করে ভারতের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কোরিয়ান ফার্মের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টেস্ট কিট বানানো শুরু হয়েছে মানেসরের প্ল্যান্টে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় পাঁচ লক্ষ আরটিকে পৌঁছে যাবে দেশের নানা প্রান্তে প্রয়োজনে আরও বেশি পরিমাণে টেস্ট কিটও উৎপাদন করতে পারবে এই সংস্থা।
দক্ষিণ কোরিয়ার আরও একটি বায়োটেক ফার্ম হিউমাসিস লিমিটেডের সঙ্গেও চুক্তি করেছে ভারত। জানানো হয়েছে, র্যাপিড টেস্ট কিট বানানোর জন্য ভারতের থেকে কাঁচামাল আমদানি করেছে ওই সংস্থা। খুব দ্রুত তারাও টেস্ট কিট তুলে দেবে দেশের হাতে।
চটজলদি সংক্রমণ ধরার জন্যই র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার কর হয়। সাধারণত করোনার সংক্রমণ ধরার মতো কার্যকরি পরীক্ষা পদ্ধতি হল আরটি পিসিআর (রিভার্স পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন)।
আরটি-পিসিআর টেস্টে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় ঠিকই তবে এই টেস্ট যেমন খরচসাপেক্ষ তেমনি সময়ও লাগে অনেক। কম করেও ছ’ঘণ্টা। সেই কারণেই একসঙ্গে বহু মানুষের থেকে নেওয়া নমুনা চটজলদি পরীক্ষার জন্য র্যাপিট টেস্ট কিট বা আরটিকে ব্যবহারেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল আইসিএমআর। আরটিকে দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে মিনিটের মতো সময় লাগে।