আগেই করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় চিন থেকে ২৪’টি বিমানে করে টেস্ট কিট, পিপিই পাঠানো হয়েছিল ভারতে। এবার জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহে আরো ২০’টি বিমান আসবে ভারতে। সেগুলিতে করে করোনা সংক্রান্ত মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক।
ওই আধিকারিক জানিয়েছে, ২১ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারতে আসার কথা এই বিমানগুলির। চিনের অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে সে কথাই জানানো হয়েছে। এই সাহায্য ভারত ও চিন দু’দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত করবে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও চিন একসঙ্গে রয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল থেকে ইতিমধ্যেই চিনের সাংহাই, গুয়াংঝু, শেনঝেন, শিয়ান ও হংকং থেকে ২৪’টি বিমানে করে প্রায় ৩৯০ টন মেডিক্যাল সামগ্রী ভারতে পাঠানো হয়েছে। এই সামগ্রীর মধ্যে আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট, থার্মোমিটার ও পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে ভারতে আসা এই মেডিক্যাল সামগ্রীর বরাত দিয়েছিল ইম্পেরিয়াল লাইফ সায়ন্সে, এইচএলএল, ম্যাট্রিক্স ল্যাব ইমভেক্স হেলথকেয়ার, ম্যাক্স প্রভৃতি সংস্থা এবং রিলায়েন্স, টাটা, আদানি গ্রুপের মতো কোম্পানিগুলি। এছাড়া কর্নাটক, অসম, তামিলনাড় ও রাজস্থানের মতো চারটি রাজ্যও এই মেডিক্যাল সামগ্রীর বরাত দিয়েছিল বলে খবর।
গত সপ্তাহেই সাড়ে ছ’লক্ষ টেস্ট কিট নিয়ে ভারতে এসেছিল চিনের দু’টি কার্গো বিমান। বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেড় কোটি পিপিই কিট, ১৫ লক্ষ র্যাপিড টেস্ট কিটের বরাত চিনকে দিয়েছে এই কোম্পানি ও রাজ্য সরকারগুলি। সেগুলোই ভারতে পাঠাবে চিন। চিনের উহানে করওনা সংক্রমণের চুড়ান্ত সময়ে ভারতের তরফেও একটি বিমানে করে মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠানো হয়েছিল সেখানে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বিদেশি কোম্পানিগুলি এই সময় ভারতীয় কোম্পানি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিদেশি কোম্পানির তালিকায় চিনের একাধিক কোম্পানি রয়েছে। অবশ্য সেই আশঙ্কার মধ্যেই মেডিক্যাল সামগ্রী নিয়ে চিন থেকে ভারতে আসছে বিমান।