• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মহারাষ্ট্রে প্রায় দু’হাজার করোনা আক্রান্ত, গোটা দেশে মৃত্যু তিনশ ছাড়াল

গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে না পৌঁছলেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা দু'হাজার ছুঁতে চলেছে।

প্রতিকি ছবি (File Photo: IANS)

মাত্র দু’সপ্তাহে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একলাফে ন’হাজারে গণ্ডি পেরিয়ে গেল। সোমবার সকাল ৮’টা অবধি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০৮।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, একদিনে গোটা দেশে নতুন ৭৯৬ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তের মোট সংখ্যা এদিনের হিসেবে ৯ হাজার ১৫২। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৮৭। তবে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থও হয়েছেন ৮৫৭ জন।

গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে না পৌঁছলেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা দু’হাজার ছুঁতে চলেছে। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের। নতুন আক্রান্ত অন্তত ২২৪ জন। মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, রাজস্থান।

দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫৪। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। তামিলনাড়ুতেও সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছুঁয়েছে। সেই সঙ্গে তেলঙ্গানা (৫০৪), উত্তরপ্রদেশ (৪৮৩), অন্ধ্রপ্রদেশেও (৪২৭) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে আরও ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালের বুলেটিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, তখনও পর্যন্ত বাংলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৪ জন। সোমবার সকালের বুলেটিনে দেখা গেল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২। একদিনের মধ্যে করোনা পজিটিভের সংখ্যার বৃদ্ধি বাংলায় এর আগে হয়নি।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থও হয়ে উঠছেন বহু মানুষ। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেছিলেন, দেশে কোভিড ১৯ পজিটিভ রোগীর ৮০ শতাংশেরই সংক্রমণ মৃদু, অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি।

বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে যাঁদের সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে তাঁদের কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলিতে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অতি সঙ্কটাপন্ন রোগীদের আইসিইউ’তে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, দেশের প্রায় ৬০১’টি হাসপাতালে এক লক্ষের বেশি আইসোলেশন বেড রয়েছে। দিল্লি এইমস’এ রয়েছে ২৫০’টি বেড, ৫০’টি আইসিইউ বেড। সফদরজঙ্গে রয়েছে প্রায় ৫০০’টি আইসোলেশন বেড, প্রয়োজনে অতিরিক্ত ৪৪৪’টি বেড বাড়ানো হবে। তামিলনাড়ুর হাসপাতালগুলিতে আরও ৩৫০’টি আইসোলেশন বেডের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। আহমেদাবাদ, কোঝিকোড়, কষ্টক, ভুবনেশ্বরেও তৈরি হচ্ছে নতুন কোভিড ১৯ হাসপাতাল।