ক্রমেই গুরুতর হচ্ছে দেশের অবস্থা। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ৩০৭২ মানুষ করোনা’য় আক্রান্ত। মৃত ৭৫ জন। সপ্তাহ খানেক আগেও আক্রান্তের এই সংখ্যাটা ছিল ৭০০। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গেছে, দেশে করোনা আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই মধ্যবয়সী। সমীক্ষা বলছে দেশে তরুণরাই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
প্রচলিত একটি সংবাদ মাধ্যমের ডাটা ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রাথমিকভাবে করোনায় আক্রান্ত প্রথম ১৮০০ জনের উপর একটি সমীক্ষা চালায়। জানা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের প্রায় ৬০ শতাংশেরই বয়স ৫০ বছরের কম। যেখানে ৩৫১ জন অর্থাৎ ২২ শতাংশের বয়স ৩০ থেকে ৩৯’এর মধ্যে। এছড়াও ৩৭৬ জনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৭ মাত্র শতাংশের বয়স ৪০’এর বেশি।
এদিকে, শুধু ভারত ক্যানো করোনার জেরে ইতিমধ্যেই জেরবার হয়ে গেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন চীন, ইতালিতে আক্রান্তের তালিকায় বয়স্করাই বেশি। কিন্তু দেশে আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশের বয়স ৬০ এর বেশি এবং ৮০ বা তার বেশি বয়সে আক্রান্তের সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম।
এছাড়াও ১০ বছরের কম বয়সী মাত্র ৩ শতাংশ শিশু এদেশে করোনায় আক্রান্ত। বয়সের পাশাপাশি লিঙ্গ ভিত্তিক ভাবে এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষিত ১৮০০ জন আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশ পুরুষ এবং মাত্র ২৭ শতাংশ মহিলা। এবং ২০ থেকে ২৯ বছরের মহিলাদের মধ্যেই সংক্রমণের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
তরুণদের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা বেশি হওয়ায় তা স্বাভাবিকভাবেই ছড়ানোর আশঙ্কাও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলেও এটা ভাবার কারণ নেই তারা সম্পূর্ণ মৃত্যু চিন্তামুক্ত। এই জন্যই, চিকিৎসকদের দাওয়াই সচেতনতাই একমাত্র পাথেয়, সামাজিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতাই পারে এই রোগ সংক্রমণ রুখতে।