ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেল। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৬০১ জনের শরীরে কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৭২ এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। এর মধ্যে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা যে বাড়বে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। কারণ একে তো সংক্রমণ কমবেশি ছড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, যত বেশি সংখ্যক মানুষকে একদিনে টেস্ট করা যাবে তত বেশি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে।
গতকাল একদিনে প্রায় ১২ হাজার মানুষের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন ল্যাবে। আইসিএমআর’এর কর্তারা বলছেন, আক্রান্তের সংখ্যা এ ভাবে বেড়ে যাওয়া একদিকে উদ্বেগের। আবার অন্যদিক থেকে ইতিবাচক। যত তাড়াতাড়ি জানা যাবে, কারা করোনা আক্রান্ত তত দ্রুত তাদের আইসোলেশনে রেখে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা যাবে।
তবে গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দুম করে বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে দিল্লির তবলিঘি জামাতের জমায়েতের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকেই। কারণ, দেখা যাচ্ছে দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকের মরকজ যোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে গোটা দেশের মধ্যে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে কোভিড ১৯ পজিটিভের সংখ্যা ৪২৩। তার পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে ৪১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। আর দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৬।