এই প্রথম করোনা’য় আক্রান্ত হলেন কোনও চিকিৎসক। আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে তিনি কর্মরত অ্যানাসথেসিস্ট তিনি। নাইসেডে এই চিকিৎসকের নমুনা পাঠানো হয়েছিল রবিবার বিকেলে পজিটিভ আসে রিপোর্ট। রাজ্যে এই প্রথম কোনও চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন।
অন্যদিকে, আরও দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। একজনের বয়স ৬৬ বছর, অন্যজনের ৫৯। দুজনেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হুগলির শেওড়াফুলির একজন এর মধ্যে রয়েছেন। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
এদিকে, চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের কারণ, করোনা আক্রান্ত অবস্থাতেই এই চিকিৎসক রোগী দেখেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ এই চিকিৎসক ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সঙ্গে যুক্ত। তাই রোগীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আসাটাই স্বাভাবিক। ফলে, রোগীদের একাংশের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এই চিকিৎসক কিভাবে আক্রান্ত হলেন তাও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিদেশ গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসকস। ১৭ মার্চ তিনি দিল্লি থেকে ফেরেন। এরপর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে। হাসপাতালের আসোলেশনে ছিলেন তিনি। বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। সেখানে থেকেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে, তেহট্টের ঘটনায় ৪৯ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। রবিবার বর্ধমানের চব্রিাজপুরের এক মহিলা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ফোন করে জানান, তেহট্টে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি ২০ মার্চ লালগোলা প্যাসেঞ্জারে সফর করেছিলেন। আপাতত এই মহিলাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তবে প্রয়োজনে তাকে আইসোলেশনে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নদিয়ার জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, এভাবে যদি সকলে এগিয়ে আসেন তাহলে এই রোগকে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে আটকানো যাবে।
অন্যদিকে, কাটোয়া থানার কবিরাজপুর গ্রামের এক মহিলাকে কৃষ্ণনগরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই মহিলাও ২০ মার্চ লালগোলা প্যাসেঞ্জারে তেহট্টের ওই আক্রান্তদের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছিলেন। ওই মহিলাও নিজে বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছে। কাটোয়া ব্লকের বিডিও শমিক পানিগ্রাহী জানান, মহিলা নিজেই হাসপাতালে গিয়ে লালগোলা প্যাসেঞ্জারের যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের করোনা প্রতিরোধে প্রচার ইতিমধ্যে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সংক্রমণরোধকারী পোশাক পরে হেঁটে চলছেন একজন। বারবার প্রচার চালাচ্ছেন, যাতে সাধারণ কোনও মানুষ অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না বেরোন। বাজারে থাকা গুটিকয়েক মানুষ ভেবেছিলেন হয়তো কোনও পুরকর্মী। কিন্তু সামনে গিয়ে তারা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
এর আগে তিনি টোটোয় চড়ে মাইক্রোফোন হাতে প্রচার করেছেন। দুধে আলতা রঙের পাঞ্জাবি ও পায়জামার সঙ্গে মুখে মাস্ক। মন্ত্রী বলেন, সামাজিক স্বার্থে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন, নিজের ও পরিবারের স্বার্থে বাড়িতে থাকুন। লকডাউন মেনে চলুন।