দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। আক্রান্তের মধ্যে নয়াবাদের বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হলেও অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৪ জন বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসারত এবং একজনের চিকিৎসা চলছে বেসরকারি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, নয়াবাদের রাজ্যে সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্তের শারীরিক পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আক্রান্ত অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতার এক যুবক এবং অড়ার বাসিন্দা এক তরুণী, এই দু’জনের শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। চিকিৎসকরা জানান, এই তিনজনই চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন।
রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তর শরীরে প্রথম থেকেই সেভাবে কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। চিকিৎসকদের কথায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মোতাকে চিকিৎসা শেষে দুটি পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সুনিশ্চিত করা হবে যে রোগীদের শরীরে করোনাভাইরাস আর নেই, তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে তাদের। হাসপাতালে অন্যান্য করোনা আক্রান্তরাও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিকে করোনা আক্রান্ত নয়াবাদে বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অনতি হতে শুরু করে শুক্রবার রাত থেকেই। আপাতত তিনি পঞ্চসায়র একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের রক্তচাপ কমেছে। দুর্বল হয়েছে ফুসফুস। যদিও তার শারীরিক অবস্থার অনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওষুধ বদল করেন চিকিৎসকরা।
এরপরই নতুন চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন ওই বৃদ্ধ। তবে এখনও তিনি সম্পূর্ণ সংকটমুক্ত নন বলেই দাবি চিকিৎসক মহলের।
এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হয়েছে একজনের। এই সংখ্যা যাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বৃদ্ধি না হয়, সেই জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এদিকে চিকিৎসকরা যখন দাবি করছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল, তখন জল না পাওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত তেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জল পৌঁছয়নি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। এমনকি জল না থাকায় ওষুধ খেতে পারেননি করোনায় আক্রান্ত এক রোগী। অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। শুধু জল নয়, ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবারও পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্তরা, অভিযোগ পরিবারের লোকজনদের। পুরো ঘটনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন তারা।
যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, জল না পাওয়া বা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি এই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।