নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশে দেশে লকডাউন চলছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। কিন্তু এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় পেতে শুধুমাত্র সমাজকে লকডাউন করা যথেষ্ট নয় বলে জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লুএইচও) কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইক রিয়ান।
তাঁর হুঁশিয়ারি, লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের উপরে আপাতত রাশ টানা সম্ভব হলেও ভবিষ্যতে তা ফের ফিরে আসতে পারে। যে কারণে এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার পদক্ষেপের উপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রবিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক রিয়ান বলেছেন, ‘শারীরিকভাবে দুর্বল এবং করোনাবাইরাসে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার উপরে এই মুহুর্তে আমাদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদেরও আইসোলেট করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করে শুধুমাত্র সমস্ত কিছু লকডাউন করে দেওয়ার এই ভাবনার মধ্যেই বিপদ সবথেকে বেশি। কারণ যখন এই ধরনের বিধিনিষেধ উঠে যাবে এবং লোকজনের অবাধ চলাচল শুরু হবে তখন ফের এই রোগ ফিরে আসার ঝুঁকি প্রবল।
করোনাকে পরাস্ত করতে চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মডেল মেনে চলার জন্য অন্য দেশগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছে, এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এই সমস্ত দেশে লকডাউনের পাশাপাশি প্রত্যেক সম্ভাব্য রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। একমাত্র এই মডেল মেনে চললে স্থায়ীভাবে করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া এশিয়ার পরিবর্তে ইউরোপ এখন করোনা মহামারীর কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই ডব্লুএইচও কর্তা। করোনা সংক্রমণ রুখতে ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে লকডাউন চালু হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় ভারতও।