প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার মুক্তির বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট- তাঁকে আদৌও মুক্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে কেন্দ্রের থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা সহ উপত্যকার রাজনৈতিক নেতাদের জন নিরাপত্তা আইনের ধারায় আটক করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়।
কেন্দ্রের থেকে নির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাকে মুক্ত করার ইচ্ছা রয়েছে কিনা। যদি কেন্দ্রের তাঁকে মুক্ত করার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে শীর্ষ আদালত ওমর আবদুল্লার বোনের আবেদনের শুনানি করবে। পাশাপাশি বলা হয়, যদি ওমর আবদুল্লাকে মুক্ত করতে হয় তাহলে দ্রুত করতে হবে। নইলে, আমরা ওমরের বোনের আবেদনের শুনানি করব।
ওমর আব্দুল্লার বোন সারা পাইলট আবেদন করে বলেন, ওমর আবদুল্লার মতো কোনও নেতাকে জন নিরাপত্তা আইনের ধারায় আটক করা ‘অসাংবিধানিক’, একজন রাজনৈতিক নেতার মৌলিক অধিকার লঙঘন করা হয়েছে। ওমর আবদুল্লা ছ’মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে দ্বিতীয় দফায় তাঁর আটকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জন নিরাপত্তা আইনে কর্তৃপক্ষকে দু’বছরের বেশি সময় ধরে একজন ব্যক্তিকে আটকে রাখতে পারার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাকে গত সপ্তাহে মুক্ত করা হয়। তারপরই ওমর সহ বাকি নেতাদের মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফারুক বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করব না। সকলে আগে মুক্ত হোক। দলের তরফে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ওমর সহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করার ব্যাপারে আর্জি করা হয়।