দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত কোভিড ১৯ রোগে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৮৬ জন। যেভাবে দ্রুত ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন ইমরান প্রশাসন। গত ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড ১৯-এ লক্ষণ দেখা গিয়েছে ১৩১ জনের দেহে।
সিন্ধু প্রদেশে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫ জন। খাইবার-পাখতুনখাওয়ার প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। সরকারের মুখপাত্র মুর্তাজা ওয়াহাব বলেন, সিন্ধু প্রদেশে যাঁরা ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের দু’জন সেরে উঠেছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। সরকার ইতিমধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলি এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ রোগে কারও মৃত্যুর খবর নেই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে চিনের পরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতালি। ইতালিতে রবিবার ৩৬৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা এক ধাক্কায় ১৮০৯ হয়েছে। চিনের বাইরে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যতজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে অর্ধেকই ইতালিতে।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে উত্তর ইতালির নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন যে হাসপাতালে আর কোনও শয্যা খালি নেই এবং কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রও আর নেই। এই অবস্থায় ইস্টার উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নয়েছে ভ্যাটিকান সিটি।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে যে রবিবার তীর্থে যাওয়ার মতো করে খালি পায়ে ভ্যাটিকান ছেড়ে বেরিয়ে রোমের একটি ক্যাথিড্রালে প্রার্থনা করেছে পোপ ফ্রান্সিস। তিনি প্রার্থনা করেছেন যাতে করোনাভাইরাসের মতো মহামারীতে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে তাঁরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ভ্যাটিকান থেকে একথা জানানো হয়েছে।
ইতালির পরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এখন ফ্রান্স ও স্পেনে। এই দুই দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কাফে, দোকান ও রেস্তোরাঁ। অত্যাবশ্যকীয় ছাড়া সমস্ত রকম বাণিজ্যিক কাজকর্ম বন্ধ রাখার দিয়েছে ফ্রান্স। আরও একধাপ এগিয়ে স্পেন ঘোষণা করেছে যে কর্মস্থলে যাওয়া, চিকিৎসা করাতে যাওয়া ও খাবার কিনতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে রেনো চলবে না।
জার্মানিতেও করোনা আতঙ্ক ঢুকেছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তারা ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবুর্গ ও ডেনমার্কের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।