দিল্লির হিংসায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, অথবা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের শরীরে বুলেট, ধারালাে ব্লেড, পাথর, ভোঁতা বস্তু এবং পােড়ার ক্ষত রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল এবং জল প্রবেশ চন্দ্র হাসপাতাল। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৯০ জনের শরীরে বুলেটের আঘাত পাওয়া গিয়েছে।
মৃত ও আহতদের শরীরের আঘাত এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে যে সংঘর্ষে জড়িতরা রীতিমত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। দেশি পিস্তল, তরােয়াল, হাতুড়ি, কাঁচি, বেসবল ব্যাট, লাঠি এবং বড় পাথর হামলায় ব্যবহৃত হয়। এই সব দেশি পিস্তল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে ঢােকে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের শামলি এবং মুজফফরনগর থেকে এই সব অস্ত্র এবং অনেক সংঘর্ষকারীও আসে বলে সন্দেহ পুলিশের।
রবিবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের কিছুটা অংশ। মঙ্গলবার পুরােপুরি সিল করে দেওয়া হয় দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা। যেহেতু দিল্লিতে কোনও অস্ত্রের কারখানা নেই, তাই প্রথম দিনেই সীমানা সিল করে দিলে সঘর্ষ ছড়াত না বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী।