• facebook
  • twitter
Saturday, 20 December, 2025

ফের বাড়ল জীবনদায়ী ওষুধের দাম

ওয়াকিবহাল মহলের মতে কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ইলেক্টোরাল বন্ডের টাকা নেওয়ায় জন্য এই মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

প্রতীকী চিত্র

মধ্যবিত্তের পকেটে টান, মাথায় তৈরি হয়েছে চিন্তার ভাঁজ। বাড়ল প্রায় ৯০০টির বেশি জীবনদায়ী ওষুধের দাম। এই দাম কার্যকর হল ১ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে। ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেল ১.৭৪ শতাংশ। এই তালিকায় আছে প্রেশার, সুগার, জ্বর, বমি ছাড়াও ডায়াবিটিস, অ্যানাস্থেশিয়া, অ্যান্টি অ্যালার্জি, নার্ভের ওষুধ, হার্টের সমস্যার ওষুধ, কান-নাক ও গলার চিকিৎসার ওষুধ। তালিকায় আছে প্যারাসিটামলও।

তালিকায় রয়েছে এইচআইভি, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগের ওষুধও। সব অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম সরকারের জাতীয় ঔষধ মূল্য নির্ধারণ কর্তৃপক্ষ (এনপিপিএ) দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রতিবার হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করে কেন্দ্র সরকার। প্রতি বছর পূর্ববর্তী বছরের পাইকারি মূল্যসূচক (ডব্লিউপিআই) অনুসারে দাম পরিবর্তন করা হয়।

Advertisement

তবে ফের জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ায় যথেষ্ট সমস্যায় ফেলবে সাধারণ মানুষকে। নয়া মূল্য তালিকা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন-এর ২৫০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম হবে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রতি ২০০ এমজি ট্যাবলেটের দাম হবে ৭ টাকা ৭৪ পয়সা আর ৪০০ এমজির ট্যাবলেটের দাম হবে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। দাম বাড়ছে ব্যথার ওষুধেরও। ২.০৯ টাকায় বিক্রি হবে ‘ডাইক্লোফেনাক’।

Advertisement

এছাড়াও দাম বাড়ছে হার্টে বসানোর স্টেন্টেরও। যে সংস্থাগুলি স্টেন্ট তৈরি করে, তারা ১.৭৪ শতাংশ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে পারে বলে জানিয়েছে এনপিপিএ। বেয়ার-মেটাল স্টেন্টের দাম হবে ১০,৬৯২.৬৯ টাকা আর বায়োডিগ্রেডেবল স্টেন্টের দাম হবে ৩৮,৯৩৩.১৪ টাকা।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ইলেক্টোরাল বন্ডের টাকা নেওয়ায় জন্য এই মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। এক চাকুরীজীবী অনীক দে জানান, সাধারণ মানুষ একেই জিনিসপত্রের বাড়তে থাকা দামের জন্য নাজেহাল তার মধ্যে আবার প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ছে, আমাদের এবার বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে যাবে।

Advertisement