সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির বিরুদ্ধে জনস্রোত বইল চেন্নাইয়ের রাস্তায়। মিছিলের অনুমতি পুলিশ না দিলেও বুধবার পুলিশের উপস্থিতিতেই সেখানে রাস্তায় নেমে এলেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হলেন তাঁরা। তামিলনাড়ুর শাসক দল এআইএডিএমকে কেন্দ্রীয় সরকারে সিএএ’কে সমর্থন জানিয়েছে। এই সমর্থনে আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যের বাসিন্দাদের একাংশ।
তাদের দাবি, অবিলম্বে বিধানসভায় সিএএ বিরােধী প্রস্তাব আনতে হবে। এই দাবি জানিয়ে এদিন বিধানসভার অভিমুখে মিছিলের ডাক দিয়েছিল একটি মুসলিম সংগঠন। কিন্তু মঙ্গলবার এতে আপত্তি জানায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিধানসভার দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানানাে হয়।
এরপর এদিন সচিবালয় ও জেলাশাসকের দফতরের দিকে মিছিলের অভিমুখ ঘুরে যায়। এদিন সকাল থেকেই কালাইভানার আরঙ্গম স্টেডিয়ামের কাছে জড়াে হতে থাকেন সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে ওয়াল্লাজা রােড হয়ে চিপক-এর সচিবালয় ও জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগােয় মিছিল।
চিপক-এ অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে একটি সভাও করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে এত সংখ্যক মানুষ নামায় যেন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে কারণে ব্যারিকেড বসিয়ে চিপক থেকে সচিবালয় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। নামানাে হয় বিশেষ বাহিনীও।
মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, মুসলিমদের সঙ্গে কোনও রকম অবিচার হতে দেবে না তামিলনাড়ু সরকার।