দিল্লির ধাক্কা বাংলায় সামাল দিতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের চাণক্য। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীকে সিএএ নিয়ে বােঝাতে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ । ১ মার্চ রাজ্য সফরে আসবেন তিনি, বিজেপি সূত্রে খবর এমনটাই। তবে শুধু বিধানসভা নির্বাচন নয়, তার আগে পুরনির্বাচনগুলিতে কি হবে বিজেপির নীতি, সে বিষয়েও রণকৌশন সাজাবেন শাহ, জানা গেছে এমনটাই।
অর্থনীতিতে মন্দা, চমকহীন বাজেট, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি- একের পর এক ইস্যুতে ব্যাকফুটে বিজেপি। কিন্তু ক্ষোভের আগুনে শেষ ঘি পড়েছিল নাগরিকত্ব আইন সংশােধনের ঘটনায়। সমস্ত দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিএএ’র বিরুদ্ধে।
সিএএ লাগু হওয়ার পর দিল্লির ভােট দেশের রাজনীতির নিরিখে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ছিল গেরুয়া শিবিরের জন্য। কিন্তু আপের কাছে সেখানে পর্যদস্ত হয়েছে বিজেপি।
দিল্লি নির্বাচনে তৈরি হওয়া ক্ষত, বঙ্গ নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে ঢাকতে চাইছেন অমিত শাহ, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৯ সালে লােকসভা নির্বাচনের ফলাফলের মতাে ম্যাজিক চাইছেন শাহ। তবে তার আগে আপাতত পুর নির্বাচনের জন্য দলকে সংগঠিত করতে চাইছেন তিনি।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বুথস্তরের নেতাদের ‘বায়ােডাটা’ চেয়ে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওইসব নেতারা বুথ সামলানাের যােগ্য কিনা। মহিলা-যুবদের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানা গেছে এমনটাই।
কিন্তু লােকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের ভিত অল্প নড়বড়ে হলেও আপাতত সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, এমনটাই মনে করছে অভিভজ্ঞ মহল। বরং সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে ব্যাকফুটে বিজেপি বলেও জানাচ্ছেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন পুরনির্বাচনের আগে অমিত শাহের সফরসূচী বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে কতটা মজবুত করে এবং ভােটবাক্সে এর প্রভাব পড়ে কিনা, প্রশ্ন এখন তা নিয়েই।